মুন্সিগঞ্জে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

জেলায় গজারিয়া উপজেলার সংযোগ সড়কে যানবাহন থেকে ও ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে হাতি দিয়ে দোকান থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। হাতি নিয়ে ওই এলাকার হাট-বাজারের দোকান থেকে, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও অটোরিকশার যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে।

অটোরিকশার যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা, সিএনজি যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা আর প্রাইভেটকার যাত্রীদের কাছ থেকে ২শ টাকা করে নিতে দেখা গেছে।

আবার হাতি নিয়ে মাহুত রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা চাচ্ছে। টাকা দিতে দেরি হলে হাতি বড় করে ডাক দিচ্ছে। তখন মানুষ ভয়ে তাড়াতাড়ি করে টাকা বের করে দিচ্ছে। সেই টাকা হাতি শুঁড় দিয়ে নিয়ে মাহুতের কাছে জমা দিচ্ছে।এভাবে সারাদিন ধরে চাঁদার টাকা উঠাতে দেখা গেছে।

এদিকে, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গজারিয়াবাসী। চাঁদাবাজী বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

ভবেরচর এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে মধ্যেই হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না। অনেক সময় মহিলা ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় অটোরিকশাচালক বসির উদ্দীন বলেন, হাতির কারণে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শেষ হলে হাতি রাস্তায় নামে আসে। হাতি চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়।

হাতির মাহুত বলেন, হাতির ভরনপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু কিছু করে টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা আবার চাঁদাবাজি হয় কিভাবে?

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.