জাপানে ঈদুল আযহা উদযাপিত

রাহমান মনি: যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করেছে জাপানে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের মুসলিম নাগরিকরা।

১০ জুলাই রবিবার ঈদুল আযহার নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা । এদিনে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা। জাপানে মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেশীর মসজিদেই একাধিকবার জামায়াতের আয়োজন করতে হয়েছে ।

মুসলিম সংখ্যা অনুপাতে মসজিদের সংখ্যা পর্যাপ্ত না থাকা কিছু কিছু শহরে স্থানীয় হল ভাড়া করে ঈদ জামায়াতের আয়োজন করতে হয়।

টোকিও এবং আশাপাশের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি ছিল টোকিওর অদূরে সাইতামা প্রদেশের গামো এলাকায় ‘বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স’এ । প্রায় ১,২০০ এক সাথে নামাজ আদায়ে সক্ষম এই মসজিদ কমপ্লেক্সে ৩টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় । প্রতিটি জামায়াতই মুসল্লিদের উপস্থিতিতে ভরপুর ছিল । সাপ্তাহিক ছুটি রোববার হওয়ায় প্রবাসীদের আনন্দে ভিন্ন মাত্রা পায় । অনেকেই স্বপরিবারে ঈদ জামায়াতে অংশ নিয়ে থাকেন ।

জাপানে বর্তমানে দুই শতাধিক মসজিদ রয়েছে। আরো বেশ কিছু নির্মাণাধীন রয়েছে।

প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত এবং বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত কানতো এলাকার গুলোর মধ্যে টোকিওর কামাতা মসজিদ, হিগাশিজুজো মদিনা মসজিদ,কিনশিচোউ মসজিদ, কোইওয়া মসজিদ, সাইতামা প্রদেশের শিনমিসাতো মসজিদ, আসাকা এবং ওয়ারাবি মুসাল্লাহ, চিবা প্রদেশের ইনাগে মসজিদ, কানাগাওয়া প্রদেশের সাগামিহারা মসজিদ , ইয়োকোহামা মসজিদ এবিনা মসজিদে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত , শ্রীলংকা আফগানিস্তান , মালয়েশিয়া , ইন্দোনেশিয়া এবং আফ্রিকা ও ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।

অন্যান্য প্রদেশগুলোর মধ্যে আইচি , গুনমা , তোচিগি ওসাকা , ফুকুওকা , হোক্কাইডো এবং যে শহরগুলোতে মসজিদ নেই সেখানে সেখানে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার কিংবা হল ভাড়া করে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করেন প্রবাসীরা।

উল্লেখ্য, রাজধানী টোকিওতে পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় টোকিওর বাহিরের শহর থেকে কোরবানি দিতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কোরবানির মাংস হাতে পেতে দুই তিনদিন সময় লেগে যায়। তার উপর এবছর সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগামীকাল সোমবার কোরবানি দিতে হবে।

ছবি – বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স / সাইতামা

rahmanmoni@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.