মুন্সীগঞ্জে সরকারি ইজারাকৃত বালুমহালে সন্ত্রাসী হামলায় ১০ শ্রমিক আহত হয়েছে। এ সময় একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চর আব্দুল্লাহ এলাকার মেঘনা নদীত এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ড্রেজার শ্রমিকদের মারধর করে ‘মা-২’ নামের একটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে নৌ-পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ড্রেজারটি রক্ষা করে।
হামলায় আহতরা হলেন- সাঈদুল (১৯), সজিব (২৬), মোরেশদ (২৭), ইরাক (৩০) ও যুবায়েরসহ ১০ জন। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বৈশাখ মাসের ১ তারিখ থেকে মেঘনা নদীর চর আব্দুল্লাহ এলাকায় সরকারিভাবে বালু কাটার অনুমোদন পায় বিজয় ট্রেডার্স। তারপর থেকে তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। সেই টাকা না পেয়ে একের পর এক হামলা-মারধর করে আসছে।
আহতরা বলেন, চাঁদপুরের মতলবের দশআনি বাহাদুরপুরের রনি শিকদার, আলমগীর মেম্বার, নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জের হারুন শেখ ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপেজলার কালিরচর গ্রামের বাচ্চু মেম্বার ও তার ছেলে রিপনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে একটি ড্রেজার পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে। আমরা নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে নিজেরদের প্রাণ রক্ষা করি।
‘মা-২’ ড্রেজারের মালিক ও ইজারাদার পক্ষের নাসির উদ্দিন বলেন, আমারা ড্রেজিংয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে দৈনিক ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছে হারুন, রনি শিকদার, আলমগীর মেম্বার ও বাচ্চু মেম্বার। সেই টাকা না দেয়ায় বিভিন্নভাবে আমাদের ড্রেজিং কাজে বাঁধা দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে কয়েক দাফয় আমাদের ড্রেজার শ্রমিকদের মারধর করেছে। আজ আমার ড্রেজার পুড়িয়ে দিয়ে ড্রেজার শ্রমিকদের মারধর করে।
বালুমহালে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বর্তমানে ড্রেজিং কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। হামলার সাথে জড়িতদের বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল
Leave a Reply