ভরা মৌসুমে সাগর, নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইলিশের অন্যতম ক্ষেত্র পদ্মা নদীতেও জেলের জালে উঠে আসছে রুপালি এ মাছ। পদ্মা নদী থেকে আহরিত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মৎস্য আড়তগুলোতে। বিশেষ করে জেলার লৌহজং উপজেলার পদ্মা পাড়ে মাওয়া মৎস্য আড়তে বেড়েছে ইলিশ মাছের সরবরাহ।
তবে সরবরাহ থাকলেও দাম বেশ চড়া বলছেন ক্রেতরা। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি থাকলেও চাহিদা বেশি তাই দামও বেশি। আমদানি আরও বাড়লে দাম কমবে বলে জানান তারা।
রোববার (৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠেছে ইলিশের বেচাকেনা। সাগর-নদীর মোহনায় ধরা ইলিশ রয়েছে প্রচুর। পাশাপাশি পদ্মায় ধরা ইলিশের সরবরাহও রয়েছে বেশ। তবে চাহিদা বেশি পদ্মার ইলিশের। সাইজ অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-২০০০ টাকা দামে।
মাওয়া মৎস্য আড়ত সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা পাড়ে মাওয়ায় মোট ২৯টি আড়তে সকাল থেকে মাছের কেনাবেচা হয়। রাতভর নদীতে আহরিত মাছ আড়তে নিয়ে আসেন জেলেরা। ভোররাত থেকে সকাল ৭-৮টা পর্যন্ত চলে মাছের বেচাকেনা। এ আড়তে নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও পদ্মার ইলিশের জন্য বেশিরভাগ ক্রেতার আগমন হয়।
কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০, এক কেজি থেকে ১৪০০ গ্রাম ওজনের ১৪০০-১৬০০, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ টাকা কেজি এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা আরও জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আকৃতি অনুযায়ী ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা।
অপু নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমদানি আরও বাড়লে দাম কমে যাবে। তবে সাগরের মাছের তুলনায় নদীতে ধরা মাছের দাম বেশি।
লৌহজং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, গতবছর এই সময় তুলনামূলক আরও বেশি ইলিশ ধরা পরেছিল। নানা কারণে নদীতে ইলিশ এখন তুলনামূলক কিছুটা কম পাওয়া গেলেও কিছুদিন পর বাড়বে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/জাগো নিউজ
Leave a Reply