কুয়েতের ধনকুবের আল-আজমী ফাহাদ হেলিকপ্টারে চড়ে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম লতব্দী খিদিরপুরে অবতরণ করলেন। বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।
পরে তিনি গ্রামটির এসএম হেলালের বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। হেলাল ১৫ বছর ধরে কুয়েতে আছেন এবং আল-আজমী ফাহাদের সঙ্গে ব্যবসা করেন।
কুয়েতি ধনকুবের ফাহাদ বাংলাদেশের সবুজ-সতেজ গ্রাম দেখে অভিভূত। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলার বর্ষাকালের প্রকৃতি তাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশে দুবার এলেও প্রথম এই গ্রামে আসলেন তিনি।
কুয়েতি এই ধনকুবের কালো রঙয়ের হেলিকপ্টারটি অবতরণ করতেই তার নেমে আসেন হেলাল ও হেলালের স্ত্রী লাকী বেগম এবং তার ছেলে ইমদাত হোসেন। গ্রামে হেলিকপ্টার দেখে কৌতূহলী মানুষের ভিড় পড়ে যায়।
কুয়েতের এই ধনকুবেন হেলালের গ্রামে দুই দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। অবস্থানকালে এই ধনকুবের অনেকের সঙ্গেই মিশেন এবং ছবি তোলেন।
এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবার হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় যান তিনি। এই সময়ে এই ধনকুবেরকে এগিয়ে দিতে সঙ্গে হেলিকপ্টারে উঠেন হেলাল ও তার মা হেলেনা বেগম ও শাশুড়ি পুষ্প বেগম।
পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে রাতের ফ্লাইটে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা হন ফাহাদ।
কুয়েতি ধনকুবেরের আগমণ উপক্ষ্যে হেলালের চাচা আশরাফ হোসেন ঝন্টু জানান, ঈদের দুই দিন আগে এই ধনকুবের বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। ছিলেন রাজধানী ঢাকায়। এরপর তিনি এক সপ্তাহের জন্য হেলালকে সঙ্গে নিয়ে থাইল্যান্ড বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার থাই এয়ারলাইন্সে দুপুরে ঢাকায় অবতরণ করেই হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে আসেন।
এই ধনকুবের দুই ঘণ্টা অবস্থানকালে হেলিকপ্টারটি নিয়ে নিরাপদে রাখা হয় সিরাজদিখানের মধ্যপাড়া ডালি আম্বার রিসোর্টে। সেখানে যাওয়া-আসার সময় পাইলটের সঙ্গে তখন হেলিকপ্টারে উড়েন হেলালের চাচা আশরাফ হোসেন ঝন্টু, তার কন্যা আলিফ জা আক্তার এবং হেলালের দুই মেয়ে হিমু আক্তার ও রিয়া আক্তার।
হেলিকপ্টার থেকে অবতরণের পর ধনকুবেরকে অভ্যর্থনা জানান লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুক্তার হোসেন ও হেলালের স্বজনরা।
কুয়েতের নাগরিক আল-আজমী ফাহাদ বলেন, ‘গ্রামবাংলার অপরূপ সৌন্দর্য আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাংলাদেশের মানুষজন খুব অতিথিপরায়ণ। তাই সময় পেলে গ্রামবাংলার সৌন্দর্য দেখার জন্য আবার আসব।’
শেয়ারনিউজ
Leave a Reply