পদ্মা সেতুতে রেলট্র্যাক স্থাপনের কাজের উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে রেলট্র্যাক স্থাপনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষের আশা প্রকাশ করে রেলমন্ত্রী বলেন, এতদিন সমন্বয়ের কারণে সেতুর ওপরে কাজ করা যাচ্ছিল না। তবে মূল সেতুতে বহুল প্রত্যাশিত রেলট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু হলো। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-যশোর পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে তিনভাগে। যার মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অগ্রগতি ৬৬ ভাগ, মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮৩ ভাগ আর ভাঙ্গা-যশোর অংশের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
আগামী বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এই রেলপথের জন্য ১০০টি রেলকোচের ব্যবস্থা হচ্ছে, চলবে ছয়টি ট্রেন। প্রকল্প সম্পন্ন করতে সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কাজ শুরুর প্রথমদিনে সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৫০মিটার দৈর্ঘ্যের পাথরবিহীন রেলট্র্যাক বসানো হয়। মূল সেতুতে রেলট্র্যাক বসবে ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। আর দুইপাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে ১৩ দশমিক ২৭ কিলোমিটারে বসবে পাথরবিহীন রেলট্র্যাক।
জানা যায়, পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। তবে সড়ক পথের জন্য মূল সেতুতে স্ল্যাব বাসানোর পর বন্ধ রাখা হয়েছিল রেলপথের কাজ। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ ভাগ। এইপথে রেল চালু হলে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২০০ কিলোমিটারের বেশি। ২০২৪ সালে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/জাগো নিউজ
Leave a Reply