প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম তিন মাস আগে সিরাজদিখান উপজেলায় নতুন যোগদান করার পর এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রাস্তাটি স¤পর্কে বলেছিলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। সিরাজদিখান উপজেলায় আপনার মাধ্যমে জানলাম, রাস্তাটি নিয়ে এলাকাবাসী খুব দুর্ভোগের মধ্যে আছে। বরাদ্দ এলে রাস্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব শীঘ্রই। তিন মাস পর শনিবার যখন আবার এই রাস্তাটি নিয়ে কথা হয় প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তো আমি জানি না। তাছাড়া রাস্তাটিও চিনি না, আপনি সময় করে অফিসে আসেন।
উল্লেখ্য, সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের বেগম বাজার থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক দেড় কিলোমিটার রাজহালট সড়কের সংস্কারের অভাবে দশটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলা সদর এবং ঢাকা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ রাস্তাটির দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় ঢালাই উঠে গেছে। পথচারীরা চলাচল করার সময় পড়ছেন দুর্ঘটনায়।
বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন জানান, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এ রাস্তাটি একবার সংস্কার করার পর আর কেউ এটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেননি। অতিদ্রুত যাতে রাস্তাটি সংস্কার হয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জনকন্ঠ
Leave a Reply