মুন্সীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর দুই স্বর্ণ ডাকাতি ও বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ তিন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং লুণ্ঠিত মালামালের আংশিক উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে রাতের আঁধারে সার্ভিস লেনে গাড়ি ঢুকলেই টার্গেট করে ডাকাত দল। লুটে নেয় স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী। এমন একটি ডাকাত দলের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এ চক্রের অন্যতম হোতা বরখাস্তকৃত এক পুলিশ সদস্য।
গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে সদর উপজেলার দুই স্বর্ণ ডাকাতি মামলার আসামি ও আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৮ সদস্য এবং শ্রীনগরের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ডাকাতির মামলার ৩ আসামি রয়েছে।
পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন মাহফুজুর রহমান জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চিতলিয়া-মুন্সীগঞ্জের চরহোগলা সেতুর কাছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর পালের পথরোধ করে ৫ ডাকাত। এ সময় পুলিশ পরিচয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেল, নগদ দুই লাখ টাকা ও ৫০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত খলিলুর রহমানকে শনাক্ত করে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মোহাম্মদ আলী ও শামীম ব্যাপারী এবং ঢাকা থেকে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে সবি রঞ্জন নিশি ও মিঠুন কর্মকারসহ এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তবে এ সময় তাদের কাছ থেকে সব পাওয়া না গেলেও লুণ্ঠিত মালামালের আংশিক উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর চিতলিয়া-মুন্সীগঞ্জ সড়কে এবং ২৯ জুন মিলকিপাড়ায় একই কায়দায় আরও দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনার সঙ্গেও এ চক্রটি জড়িত বলে জানা গেছে।
গ্রেফতার হওয়া ১১ ডাকাতের মধ্যে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এদিকে এসব ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল ও সাড়ে ৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে।
সময় টিভি
Leave a Reply