জেলার শ্রীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা শিক্ষকে আক্তার হোসেনের (৩৫) ওপর হামলা হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১ টার দিকে উপজেলার জুঁশুরগাঁও সড়কের পাশে আসহাবুস সুফফা ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার (৬০) নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রানা (৩৫), মাহাবুব (৩০), খোকন মেম্বারের ছেলে দীপু (৩৩) ও বারুলী পাড়ার মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক আক্তার হোসেন (৩৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, করোনাকালীন সময় হজ্বে যাওয়ার জন্য ইউসুফ মিয়া ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার “উল্লাশ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস্” নামক একটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ লাখ টাকা জমা দেয়। টাকা জমা দেয়ার সময় মাদ্রাসা শিক্ষক আক্তার হোসেন ও প্রতিবেশী মো. সোহাগ খান চুক্তিনামায় জিম্মাদার হন। দুর্ভাগ্যবসত ট্রাভেলস্ এজেন্সির সংশ্লিষ্ট লোকজন টাকা নিয়ে আত্মগোপন করে। এ নিয়ে ইউসুফ মিয়া জিম্মাদারদের চাপ দিতে থাকে। এক বৈঠকে ইউসুফ মিয়ার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আড়াই মাস সময় নেন জিম্মাদারগণ।
এর দেড় মাসের মাথায় শনিবার ইউসুফ মিয়াকে ২ লাখ টাকা দেয়ার জন্য ডাকেন। ২ লাখ টাকার প্রাপ্তির জন্য লিখিত চাইলে ইউসুফ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ইউসুফ মিয়া লোকজন ডেকে মাদ্রাসায় ক্লাশ চলাকালীন সময় আক্তার হোসেনকে মারধর করে।
এ ঘটনায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছুটাছুটি শুরু করে। এমারত হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে আমার ছেলে মেয়ে পড়ে। হামলার ঘটনায় তার সন্তানরা ভয়ে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়।
ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন বলেন, আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছি। আমার মাথা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। কথা বলার মত অবস্থায় নেই।
সোহাগ খান বলেন, ইউসুফ মিয়ার কর্মকান্ডে আমি হতবাক। ২ লাখ টাকা প্রাপ্তির একটি লিখিত চাওয়া হয়েছে। তাকে তো খারাপ কিছু বলা হয়নি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। আমাকেও ঠেলা ধাক্কা দিয়েছে। আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউসুফ মিয়ার এমন কর্মকান্ডে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা আমার ভাইকে আহত করেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
মো. ইউসুফ মিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার জন্য গিয়েছিলাম। ওই খানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। দীপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একটু হাতাহাতি হয়েছে। আমি তখন দূরে ছিলাম। এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মানিক বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
নিউজজি
Leave a Reply