মুন্সিগঞ্জে আ.লীগের সংঘর্ষে পথচারী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন দিন পর মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মঞ্জু আরা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মনির হোসেন মোল্লা (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার বকুলতলা এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত মঙ্গলবার ও গতকাল নিহত ব্যক্তির শ্বশুর আমজাদ সরকার বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে তা নেয়নি পুলিশ।

গুলিবিদ্ধ পথচারী মনির হোসেন মোল্লাকে আহত অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তারিকুজ্জামান বলেন, রাত ১২টার পর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মঞ্জু আরা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ এবং ইউনিয়নটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি আলী হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তাঁদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। সোমবার দুপুরে ইউনিয়নটির বকুলতলা এলাকায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। বিকেলের দিকে উভয় পক্ষ গোলাগুলি শুরু করে। এ সময় তাঁদের ছোড়া গুলিতে স্থানীয় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন।

নিহত মনির হোসেনের মেয়ে সামিয়া আক্তার বলেন, আধারা ও সোলার চর গ্রামের মানুষ বকুলতলা গ্রামে এসে সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে তাঁরা গোলাগুলি শুরু করেন। তাঁর বাবা বয়স্ক মানুষ, আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। তাঁদের গুলিতে তিনি মারা গেলেন।

প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.