মুন্সীগঞ্জে গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। জেলা শহরের নাজুক সরবরাহ লাইন এবং যথাযথ সরবরাহ না থাকায় ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক গ্যাস না পেয়েও বিল গুনছেন। বিকল্প ব্যবস্থায় রান্নাবান্না করতে চলছে নানা চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে ঘরে ঘরে গৃহিণীদের ক্ষোভের যেন শেষ নেই।
মুন্সীগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আসমা আক্তার রিনা গ্যাস সংকটে নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন। এতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে পোষাতে না পেরে মাটির চুলাও ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। আসমা আক্তার রিনার মতো মুন্সীগঞ্জের শত শত গৃহিণীর রান্না নিয়ে ভোগান্তি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে গ্যাস লাইনের সবশেষ সীমানা মুন্সীগঞ্জ শহর। লাইন সরু, কম সরবরাহ ও চাপ যথাযথ না থাকায় গ্যাস শেষ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই শেষ। শিল্পকারখানায়ও গ্যাস সংকট। অভিযোগ রয়েছে বিচ্ছিন্নের পরও রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় বকেয়া পড়েছে ২১ কোটি টাকারও বেশি।
মুন্সীগঞ্জ তিতাস গ্যাস লিমিটেডের ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। গ্যাসের চাপ ১০ পিএসআই থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে আড়াই।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭১ লাখ ঘনমিটারের বিপরীতে প্রতি মাসে প্রায় ৩৫ লাখ ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। আর সে কারণেই জেলা শহর মুন্সীগঞ্জের প্রায় ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক গ্যাস পাচ্ছেন না। তারা অনেকে লাকড়ির চুলায় সারছেন রান্নাবান্নার কাজ।
সময় টিভি
Leave a Reply