মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া রুটে আবারো চালু হচ্ছে ফেরি

মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে আবারও চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস৷ এরমধ্যে ঘাট ও পন্টুন স্থাপনের কাজ শেষ করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। ১০ নভেম্বরের মধ্যে এ রুটে ফেরি চালু হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএর) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগে এ রুটে খুব কম গাড়ি যাতায়াত করতো। সে কারণে ফেরি বন্ধ রাখা হয়। এখন চাহিদা বেড়েছে। ফলে আবারও ফেরি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের পন্টুন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পন্টুন বসাতে কিছু অংশে ড্রেজিং করতে হবে। ঘাট স্থাপন হয়ে গেলে সপ্তাহ খানিকের মধ্যে ফেরি চালু করা হবে। ১০ নভেম্বরের মধ্যেই ফেরি চলবে। অনেকদিন ধরে ফেরি চালু না থাকায় নদীর পাড়ে ফেরি ঘাটের কিছু কাজ করতে হচ্ছে। ঘাট স্থাপন ও নদী পাড়ের নাব্যতা সংকট নিরসনের পরই ফেরি চালানো শুরু হবে।

প্রথম পর্যায়ে একটি ফেরি চালু করা হবে। কারণ ট্রান্সপোর্টের ডিমান্ড বেশি নেই, তবে চাহিদা বাড়ে ফেরির আকার সংখ্যা বাড়ানো হবে। সে ক্ষেত্রে বিআইডাব্লিউটিসির অন্যান্য রুটে যে হারে ভাড়া নির্ধারিত সে হারেই ভাড়া নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনার গজারিয়া অংশ কাজিপুরা ও মুন্সিগঞ্জ অংশে চর-কিশোরগঞ্জ পাড়ে ঘাট নির্মাণের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্বর্ণচাপা ও সন্ধ্যা মালতি নামের দুটি ফেরি ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। ঘাট প্রস্তুতে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা। দ্রুতই সব কাজ শেষ করার কথা জানান তারা।

এদিকে, নতুন করে ফেরি চালু প্রস্তুতিতে উচ্ছ্বসিত স্থানীরা। মেঘনা নদীতে বিচ্ছিন্ন গজারিয়া উপজেলায় যাতায়াতে প্রতিদিন ভোগান্তি আর জীবনের শঙ্কা নিয়ে উত্তাল নদী পাড়ি দিতে হয় যাত্রীদের। তবে ফেরি না থাকায় পারা হয় না কোনো যানবাহন। ৭-৮ কিলোমিটার দূরত্বের সদর উপজেলায় সড়ক পথে আসতে হয় নারায়ণগঞ্জ হয়ে অর্ধশত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। ফেরি চালু হলে যাতায়াতের ঝাক্কি ও দুর্ভোগ এড়িয়ে পারাপার করা যাবে। এছাড়া ফেরি চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আশপাশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

২০১৮ সালের জুনে এ নৌরুটে ফেরি উদ্ধোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলাবাসীকে ঈদ উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে বলে উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী। তবে দুই পাড়ের যাতায়াতের সড়কের বেহাল দশা, যানবাহন সংকটসহ নানা প্রতিকূলায় উদ্বোধনের কয়েক মাস পরেই বন্ধ হয়ে যায় সার্ভিসটি। এরপর ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছিলো ঘাটের পন্টুন। এদিকে ফেরির রুটে দুই পাড়ের ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জের দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার সড়ক এর মধ্যেই সংকার হয়েছে। ফলে এ পথে যানবাহন চলাচলে এখন সুগম হয়েছে।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এএইচ/এমএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.