শ্রীনগরে বালাশুর চৌরাস্তায় মাছের মেলা

শ্রীনগর উপজেলার বালাশুর চৌরাস্তা মোড়ে বসছে হরেক রকমের মাছের মেলা। পদ্মা নদীর রূপালী ইলিশ, চিংড়ি, রুই, কাতল, আইড়, বোয়াল, রিঠা, পাঙ্গাস, তাঁরা বাইন, বালিয়া, সিলং, কাজলিসহ নানা জাতের মাছের পসরা সাজিয়ে বসছেন স্থানীয় জেলেরা। এছাড়াও এখানে পাওয়া যাচ্ছে বিখ্যাত আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন ডাঙ্গার গজার, শোল, কৈ, শিং, মাগুরসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় সব মাছ। তাজা টাটকা পছন্দের এসব মাছ নিতে দূরদুরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষের আগমণ ঘটে বালাশুরে।

প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় দুই ধাপে বালাশুর মাছের বাজারটিতে ৩/৪ লাখ টাকার মাছ বিকিকিনি হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে জমে উঠে মাছের বাজারটি। তবে মাছের আমদানী কিছু কম হওয়ায় জেলেরা মাছের দাম বেশি হাকাচ্ছেন এমনটাই বলছেন ক্রেতারা।

সরেজমিন দেখা যায়, শ্রীনগর-দোহার আঞ্চলিক সড়কের রাঢ়িখাল ও ভাগ্যকুল ইউনিয়নের সীমানাবর্তী বালাশুর চৌরাস্তার উত্তর পাশে মাছের বাজারটিতে পাওয়া যাচ্ছে পদ্মা নদীর বড় সাইজের ইলিশ, পাঙ্গহাস, চিংড়ি, বোয়ালসহ অন্যান্য প্রজাতির নদীর সব মাছ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাজারে আসছে পছন্দের ইলিশ।

দেখা গেছে, বড় সাইজের ইলিশের মূল্য কেজি প্রতি চাওয়া হচ্ছে ১৪শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা। ৫০০ গ্রামের নিচে ইলিশের কেজি চাওয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে হাজার টাকা। নদীর পাঙ্গহাসের কেজি জেলেরা চাইছেন ১৪শ’ টাকা করে।

জানা যায়, বালাশুর মাছের বাজারটিতে ২৪-২৫ জন পেশাদার জেলে বিভিন্ন মাছের পসরা সাজিয়ে বসছেন। এদের অনেকেই স্থানীয় ভাবে অন্যান্য জেলেদের দাদন দিচ্ছেন নদীতে মাছ ধরার জন্য।

আব্দুল কাদির, শংকর রাজবংশী, শাহ আলমসহ অন্যান্য জেলেরা জানান, পদ্মা নদীতে জালে ইলিশ অনেকাংশে কম ধরা পড়ছে। তাই বড় ইলিশের দাম কিছুটা বেশি। এছাড়া অন্যান্য প্রজাতির মাছের আমদানী তুলনামূলক কম হলেও দাম স্বাভাবিক আছে।

ক্রেতারা বলছেন, ইলিশের যে দাম সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে এ মাছ কেনা প্রায় অসম্ভব। কেনার ইচ্ছে থাকলেও পছন্দের ইলিশের স্বাদ গ্রহনের সামথ্য নেই। বাধ্য হয়েই কম দামে অন্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.