শ্রীনগরে স্কুলছাত্রীর গলা ও হাতের রগ কাটার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

শ্রীনগরে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির চাঁদনী নামে এক ছাত্রীর গলা ও হাতের রগ কেটে দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত আসামি রাব্বির পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা ওই ছাত্রীর নানা-মামাদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে অতি উৎসাহী এলাকার একটি মহল দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ডাক্তারের পরামর্শে চাঁদনীকে এখন ঢাকায় তার মা-বাবার কাছে রাখা হয়েছে। সেখানে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চাঁদনীর ওপর এ হামলার পর থেকেই এলাকায় একটি মহল ঘটনা ঘামাচাপা দেয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠে। আহত চাঁদনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর নানা মো. আনিস ফকির, খালা শিখা বেগম বলেন, চাঁদনী এখন কিছুটা সুস্থ্য। মামলা দায়ের পর আসামিরা নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি রাব্বির এক আত্মীয় ভাগ্যকুলের জগন্নাথপট্রি এলাকার মিনারা ও তার ছেলে সুমন তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।

চাঁদনীর ছোট মামা মো. রতন ফকির বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে আমাদের বাড়িতে কিছু লোক মিমাংসার জন্য প্রস্তাব নিয়ে আসে। আমরা এ বিষয়ে কোন কথা বলিনি। আসামি রাব্বির লোকজন আমাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানিয়ে রাখছি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। হুমকি ধমকি প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কামারগাঁও গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দশম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদনীর গলা ও হাতের রগ কেটে দেয়। জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার। এ ঘটনায় ওই রাতেই চাঁদনীর বড় মামা জাহাঙ্গীর ফকির অভিযুক্ত রাব্বিসহ এজাহারভুক্ত ৫ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.