সিরাজদিখানে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

সিরাজদিখান টোলবাসাইল একটি মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা বোর্ডের নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষা নেয়া, শিক্ষকদের নিকট টাকা চাওয়া, ছুটি না নিয়ে ছুটি কাটানোসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বাসাই ইউনিয়নের রসুলপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মাওলানা মো.শহিদুল্লাহ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ওই মাদ্রাসায় সুপারের পদ শূন্য হলে পরিচালনা কমিটি মাওলানা মো শহিদুল্লাহকে সুপার হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়ার পর তার পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করেন মো. শহিদুল্লাহ।

নতুন কমিটি করে তাদের ভুল বুঝিয়ে এরপর থেকে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে থাকেন। মাদ্রাসার একটি সূত্র জানায়, সুপার হুজুর নিজের ইচ্ছে মত মাদ্রায় ছুটি কাটান, নিজের লোকদের সুযোগ সুবিধা দেন।

এ ছাড়া মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষকদের নিকট টাকা চেয়ে, খারাপ ব্যবহার করে,নিজে স্বেচ্ছাচারিতা করে মাপ চেয়ে পার মেয়ে যান সুপার। অভিযোগের এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একবার মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে ছিলেন। সহকারী সুপার মৌলভী মো.আবুল কালামের সাথেও তার সম্পর্ক ভালো নেই।

সহকারী শিক্ষক সাইফুল আলম ও সহকারী সুপার মো আবুল কালাম বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বর বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা মাসাদ্রার সুপার ২০ তারিখে নতুন পরীক্ষার রুটিন করে পরীক্ষা নিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খবর পেয়ে মাদ্রাসায় এসে পরীক্ষা বন্ধ করে আগামী ২৭ তারিখ পরীক্ষা নিতে বলে আবার ক্লাস নিতে বলেছেন।

এ বিষয়ে সুপার মাওলানা মো.শহীদুল্লাহ বলেন, আমি ভুল করেছি, আমি মাফ চাইছি। এখন পরীক্ষা হচ্ছে না । সহকারী সুপারের সাথে আমার ভুল বোঝা-বুঝি হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনেচ্ছিুক এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক সাইফুল আলম ও অফিস সহকারী মিনহাজের মাধ্যমেই এসব অপকর্ম করে চলেছেন মাদ্রাসার সুপার। ওই দজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুপারের সকল অপকর্ম বেরিয়ে আসবে। মাদ্রাসার সভাপতি অল্পকিছুদিন হয় সভাপতি হয়েছেন। তিনি এসব কিছুই জানেন না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, সুপারের অনিয়ম পরীক্ষা আগে নেয়ার সম্পর্কে আমি অবহিত। ২০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ওই মাদ্রাসার পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ হতে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। সুপারের স্বেচ্ছাচারীতার প্রমান পেলে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কারও পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে শুনে আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.