মুন্সীগঞ্জে সহস্রাধিক একর জমিতে জলাবদ্ধতা

আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
মামুনুর রশীদ খোকা: মৌসুম চলে গেলেও বর্ষার পানি এখনো পুরোপুরি চলে যায়নি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কয়েকটি গ্রামে। এসব গ্রামের সহস্রাধিক একর ফসলি জমি এখনো পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ফলে শুকনো মৌসুমে আলু ও ধান আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের মুখ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে ফসলি জমি।

জানা যায়, উপজেলার খেদেরপাড়া, খলাপাড়া, কাজীরগাঁও, খিদিরপাড়া, বনসামন্ত, ঘোলতলী, জোড়পুল ও ঢুলুগাঁও গ্রামের বিস্তীর্ণ জমি এখনো বর্ষার পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এ অবস্থায় এসব জমিতে এখনো চাষাবাদ শুরু করা যায়নি।

সরেজমিনে খেদেরপাড়া গ্রামে দেখা গেছে, কৃষকরা স্থানীয় পদ্ধতিতে সেচের মাধ্যমে জমি থেকে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। ওই গ্রামের দুই সহোদর সবুজ ও রোমান জানান, যত্রতত্র পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে। একই সঙ্গে খালের মুখ বন্ধ করে বালু ভরাট ও অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণের কারণে জমিতে বর্ষার পানি থেকে গেছে। আবার দীর্ঘদিন ধরে খাল খনন না করার কারণে খালে পলি জমেছে। স্থানীয় কৃষক মনির হোসেন বলেন, ‘গেল বছর আমাদের জমির পাশের কলারবাগ থেকে গাংচিল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। কিন্তু ওই খালের সঙ্গে গাংচিল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পদ্মা শাখা ডহুরী খালের কোনো সংযোগ করা হয়নি। তাই খাল দিয়ে জমির বর্ষার পানি সরছে না।’

খিদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে খালের মুখগুলো থেকে পলি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু খাল পাড়ের মাটি ভিজে থাকায় ভেকু মেশিনে ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে না।’

দেশ রুপান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.