মুন্সীগঞ্জে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার

প্রভাবশালীর ছেলের দ্বারা ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হলেও পুলিশ গড়িমসি করছে বিষয়টি নিয়ে। মোবাইলে ও হোয়াট্‌স অ্যাপে জানানোর আড়াই ঘণ্টা পরে পুলিশ উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। এই উপস্থিতি তখনই ঘটে যখন ৯৯৯ এ ফোন দেয়া হয়। সিএনজি চালকের হার্টের রোগী ৩ বছরের কন্যাকে ধর্ষণ করে প্রভাবশালী আমান রাঢ়ীর ছেলে আকিব (১৩)। আকিব স্থানীয় একটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে। সামাজিক বিচার ও নেতাদের দাপটে মেয়ের পরিবার কোনো পাত্তাই পাচ্ছিল না। এমন শিশু ধর্ষণের বিষয় ধামাচাপা দিতে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেনদরবার চলছিল।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় যুবলীগের পদপ্রত্যাশী সালাম দেওয়ান বিষয়টির ধামাচাপা দেয়ার কাজে ব্যস্ত। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সকল মাতব্বর, মেম্বার সটকে পড়ে।

পরবর্তীতে বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে বারবার অবহিত করার পরেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। অবশেষে পুনরায় ডিউটি অফিসারকে ফোন দিলে তিনি জানান, হাতিমারা ফাঁড়ির ইনচার্জ ছুটিতে আছেন একজন এস আই আছেন উনি যাবেন। জানানোর অনেক্ষণ পরে একটি সিএনজিযোগে দেখা মিললো তাদের কিন্তু তেমন কোনো পদক্ষেপ নিলেন না।

হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রিফাত জানান, মিটিংয়ে ছিলাম এ জন্য আসতে দেরি হয়েছে। মামলা হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ডিউটি অফিসার এস আই আসমা জানান, গতকাল ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামি আটক করে থানায় আনার পরে ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিহির কুমার পাইকের মাধ্যমে আসামিকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। আগামী ২০শে ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য তারিখে আসামিকে নিয়ে উপস্থিত হবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মিহির কুমার পাইক জানান, শিশু আইনে শিশুটিকে আদালতে সোপর্দ করা যায় না তাই তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী তারিখে মা ছেলেকে আদালতে হাজির করার শর্তে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম জানান, মেয়ের অভিভাবক কোনো মামলা মোকাদ্দমা করতে রাজি না হওয়ায় আমরা সমাজের লোকজন বিচার আচার করার জন্য বসেছিলাম। বিষয়টি সামাজিক বিচারের আওতায় পড়ে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, অভিভাবকরা আইনি বিচার চায়নি বলে এড়িয়ে যান সালাম। সালাম এলাকায় বিভিন্ন বিচারের নামে অপরাধ সংঘঠিত করে আসছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মানবজমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.