টঙ্গীবাড়িতে কৃষকের ৩৫০ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ছটফটিয়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাতের আধারে ৩৫০ টি কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ এসহাক বেপারী বাদী হয়ে এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জমি নিয়ে বিরোধের ধরে তার বাড়ির পাশের নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার মীরগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুল বেপারীর ছেলে আবুল বাশার বেপারী গংরা বুধবার রাতের আধারে এ গাছ কেটে ফেলেছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী এসহাক বেপারী বলেন, ৪/৫ মাস আগে কলা গাছগুলো রোপণ করেছিলাম। এখন পর্যন্ত এই কলা গাছগুলোর পেছনে আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে আবুল বাশার বেপারী সাথে আমার বিবাদ চলে আসছে । সে লোকজন নিয়ে রাতের আঁধারে আমার কলা গাছগুলো কেটে ফেলেছে।

এ ব্যাপারে এসহাক বেপারীর ছেলে আব্দুল সালাম বলেন, আবুল বাসার ব্যাপারী সাথে আমাদের জমি নিয়ে ঝামেলা চলে আসছে। উনি একটি মিস কেস করছে। এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড অফিস হতে ইনকোয়ারি করে গেছে।

ইনকোয়ারি করে যাওয়ার পরে বাশার বেপারী তার লোকজন নিয়ে আমাদের পাঁচটা কলা গাছ ও চারটি কলার ছড়া কেটে নিয়ে গেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ এসে তাকে জোরজবস্তি করতে না করে গেছে। গতকাল রাত্রে আবুল বাশার ব্যাপারী তার লোকজন নিয়ে আমাদের ৩৫০টি কলাগাছ কেটে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বেতকা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকালে আমি এসে দেখি এসহাক ব্যাপারীর প্রায় ৪০০ কলাগাছ রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে রেখেছে। এটার সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে এটার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল বাসার ব্যাপারী বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি। তবে আমার সাথে এছহাক ব্যাপারির পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আমাকে এখন মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোলা কাগজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.