শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়েতে গড়ে উঠেছে বাস স্ট্যান্ড!

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর পুরাতন ফেরীঘাটে ব্যস্ততম সড়কে রীতিমত গড়ে উঠেছে বাস স্ট্যান্ড। এদিকে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নবাসী যাতায়াত থাকায় শ্রীনগর পুরাতন ফেরীঘাট অসংখ্য যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করতে হয়। অথচ আব্দুল্লাহপুর পরিবহনের মিনি বাসগুলো এক্সপ্রেসওয়ে সার্ভিস লেনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার্কিং করে রাখায় সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণহানীর শঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।

এই পরিবহণের বাসগুলো ঢাকা নয়াবাজার টু মাওয়া রোডে চলাচল করছে। বাসগুলো সড়কের যেখানে সেখানে যাত্রী উঠা নামানো করছে। মহাসড়কে চলাচলের অনুপযোগী এসব মিনি বাসে অনভিজ্ঞ কিশোর ড্রাইভার ও হেলপার শ্রমিকরা নিয়ন্ত্রণ করছে। সড়কের শ্রীনগর পুরাতন ফেরীঘাটে ফিটনেছ বিহীন এসব বাসট্যান্ড থেকে একটি চক্র লাইনম্যানের নামে চাঁদা উঠাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের মাশুরগাঁও শ্রীনগর পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে আব্দুল্লাহপুর পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসগুলো সারি সারিভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এতে সার্ভিস লেনে অন্যান্য যানবাহন ও পথচারী চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কম বয়সী হেলপার ও ড্রাইভারা বাসে যাত্রী তোলার জন্য যেখানে সেখানে বাসগুলো থামাচ্ছে। এতে অনেকাংশে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে।

লক্ষ্য করা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর ছনবাড়ি চৌরাস্তায় এই পরিবহনের বাসগুলো যত্রতত্রভাবে যাত্রী উঠা নামা করানোর ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, হাইওয়ে পুলিশ সবই তো দেখছেন। রহস্যজনক কারণে আব্দুল্লাহপুর পরিবহণের বাসগুলো সড়কের মধ্যে স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে।

শ্রীনগর পুরাতন ফেরীঘাটের এই বাসের লাইনম্যান মো. তারেক নামে এক ব্যক্তির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পরিবহণের ম্যানেজার সার্জ তাকে লাইনম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

সড়কে এসব বাস পার্কিং করায় অন্যান্য যানবাহণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে মালিক সমিতির সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হাসপাতালে আছি। এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির সাথে কথা বলেন।

মুন্সিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ বকুল খান, এই পরিবহণটির রোড পারমিট ও অন্যান্য কোন ধরণের অনুমতি নেই। তারা হাইওয়ে পুলিশের

সাথে মিলতাল ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে গায়ের জোড়ে বাসাগুলো এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলায় মিটিং বসে এই পরিবহণটিসহ অন্যান্য পারমিট ছাড়া পরিবহণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করবো।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.