সিরাজদিখানে ২০টি মাছ ও সবজির গাড়িতে ডাকাতি

সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা-সিরাজদিখান সড়কে রশুনিয়া এলাকায় ভোর রাতে মুখে মুখোশ পরে অন্তত ২০টি গাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইলসেট নিয়ে যায় এবং অনেককে মারধর করে ডাকাতি করে।

সূত্র মতে, রশুনিয়া গ্রামীনব্যাংক রাস্তায় ব্রীজের সামনে ভোর রাতে ফাকা রাস্তায় পুলিশের টহল না থাকার কারণে ভুক্তভোগীরা কোনো ধরনের প্রতিকার পাচ্ছে না। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ লিংরোডের পয়েন্টে নিরাপত্তা ক্যাম্প না থাকা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কমসময়ে রাস্তায় টহলে থাকার কারণেই বেশিরভাগ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের মতে, ওইসব রাস্তায় ডাকাতি রুখতে পুলিশকে আরো দায়িত্বের সাথে তৎপরতা বাড়াতে হবে।

গত সোমবার ভোর ৫টার দিকে সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের রশুনিয়া টানা ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতের কবলে পড়া বেশীরভাগ গাড়ীতেই ছিল মাছ ও সবজি ব্যবসায়ীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত সবজি ও মাছ ব্যসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন জেলার টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদীখান উপজেলার কাচামাল ও মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকার বিভিন্ন পাইকারী বাজার থেকে মাছ ও সবজি ক্রয় করে এই পথে চলাচলা করে। ডাকাত দলের সদস্যদের সবার মুখে ছিল মুখোশ, হাতে ছিল দা ও লোহার রড।

ডাকাতের কবলে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত সিরাজদিখান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শেখ মাহবুব বলেন, প্রতিদিন টঙ্গীবাড়ী আর সিরাজদিখানের মাছ ও সবজি ব্যবসায়ীরা ঢাকার কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও শ্যামবাজার থেকে পাইকারী সবজি, মাছ কিনে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকে। গত রোববার ভোরে ঢাকা থেকে মাছ সবজি কিনে ফেরার পথে রশুনিয়া এলাকায় দা ও লোহার রড নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে। এ সময় আমাদের গাড়িটিও আটকায় এবং আমার থেকে ২০ হাজার টাকা ২টি মোবাইল ও আমার গাড়ি চালকের কাছ থেকে ১টি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া আরো প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গাড়িতে ডাকাতরা ডাকাতি করে এবং অনেককে মারধর করে।

সিরাজদিখান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মাখন রাজবংশী বলেন, আমার কাছ থেকে ডাকাতরা ৮ হাজার টাকা নেয় এবং আমাদের বাজারের মাছ ব্যবসায়ী চন্দন রাজবংশীকে আহত করে তার কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

রাজদিয়া টেংগুরিয়াপাড়া গ্রামের চন্দর রাজবংশী বলেন, এই রাস্তায় ডাকাতি বন্ধে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি আমাদের।

হারাধন মন্ডল নামে এক বাসচালক জানান, মধ্যরাতের বেলা ও ভোর রাতে এই সড়কে দিয়ে বাস চালাতে ভয় করে। কারণ মাঝেমধ্যেও ভোর রাতে থানা পুলিশের টহল না থাকার জন্য ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, কয়েকটি গাড়ীতে ঘটনা ঘটেছে। আমরা জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.