লৌহজংয়ে অতিথি পাখি শিকারে বাধা দেয়ায় দুই ভাইকে পিটিয়ে আহত

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই সহোদর গুরুতর হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার নাগেরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন নয়নাকান্দা আক্কাস আলী মোল্লার দুই ছেলে সোহেল মোল্লা (৪২) ও জুয়েল মোল্লা (৪০)। এ ঘটনায় থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে নাগেরহাট গ্রামের কয়েকজন যুবক পাশের নয়নাকান্দা গ্রামের একটি পুকুরে পাখি শিকার করতে যায়। এ সময় সোহেল মোল্লার ছেলে নাঈম পাখি শিকারে বাধা দেয়। পরদিন শুক্রবার নাঈম নাগেরহাট বাজারে গেলে পাখি শিকার করতে যাওয়া যুবকেরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের বিরোধ মিমাংসায় সালিশ বসে। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মঙ্গলবার নাঈমের বাবা সোহেল মোল্লা ও চাচা জুয়েল মোল্লা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আগের দিনে নিজেদের ছেলেপেলেদের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সাথে সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। পরে দুই ভাই গোয়ালীমান্দ্রা হাটে কাঠ কেনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এ সময় বিপুল ভুঁইয়া, সোহাগ শেখ ও সাব্বির শেখের নেতৃত্বে জন তাদের পথরোধ করে গালাগাল করে। এ সময় অভিযুক্তরা লোহার রড-পাইপ, বাঁশের লাঠি ও কাঠের ডাসা নিয়ে দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় ও রক্তাক্ত করে। এতে সোহেলের নানা স্থানে আঘাতসহ নাক ফাটিয়ে দেয়। আর ইট দিয়ে জুয়েলের মাথা ফাটায় দুর্বৃত্তরা। তাদের কাছে থাকা কাঠ কেনার প্রায় ৫০ হাজার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হামলার ঘটনায় সোহেল ও জুয়েলের বড় ভাই সোলায়মান ওরফে ঠাণ্ডু মোল্লা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলো- বিপুল ভূঁইয়া, সোহাগ শেখ, সাব্বির শেখ, লিজান শেখ, বর্ষণ, আক্কাস, মিলন, রাজন, লালন, প্রাপ্ত ভুইয়া, অমিত শেখ ও নয়ন শেখ।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইনকিলাব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.