মুন্সিগঞ্জে শীতের পোশাক কেনার ধুম, দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ

পৌষের শেষভাগে শীতে জনজীবন জবুথুবু। এ অবস্থায় মুন্সিগঞ্জের শীতের পোশাক কেনার ধুম পড়েছে। প্রতিটি দোকানে সাধারণ সময়ের চেয়ে বেঁচাকেনা বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। এদিকে চাহিদা বাড়ায় দাম বৃদ্ধি অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারিতে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশিতে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) ছুটির দিন বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের কাচারি এলাকা থেকে সুপারমার্কেট, পাতাল মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণনি বিতানে ক্রেতাদের ভিড়। জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, মাফলার, ট্রাউজার, ভারি টি-শার্ট, টুপি, হুডিসহ বিভিন্ন পোশাক ও সামগ্রী ক্রয় করছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফুটপাতেও বসেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। নিম্ন আয়ের মানুষ সেখান থেকেই ক্রয় করছে। তবে সব জায়গায় জমজমাট কেনাবেচা। বিশেষ করে শিশুদের পোশাকের দোকানে নারীদের ঢল দেখা গেছে।

হারিস হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, কয়েকদিন ধরে শীত বেড়েছে। বাসায় ছোট বাচ্চা। ওদের জন্য জামা টুপি কিনতে বের হয়েছি। কিছু কিনেছি আরও কিছু কিনবো।

শিরিন নামের এক নারী ক্রেতা বলেন, ভেবেছিলাম শীত বেশি পড়বে না। গত কয়েক দিনে রাতে হাড় কাঁপানো শীত পড়ছে। তাই নিজেদের ও ছোট মেয়ের জন্য গরম জামা কিনতে এসেছি।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দোলনা মনি বলেন, শীত প্রচুর। বাধ্য হয়ে জামাকাপড় কিনতে হচ্ছে। তবে দাম একটু বেশি নিচ্ছে। মানুষ বেশি কেনাকাটা করছে, তাই সব কিছুতেই দাম বেড়েছে।

সুপারমার্কেট এলাকারএকটি পোশাকের দোকানদার হৃদয় জানান, বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়েছে। শীত পড়লেও এতোদিন দৈনিক গড়ে ১৫-২০ হাজার টাকার শিশুদের জামা-কাপড় বিক্রি হতো। গত কিছুদিন ধরে ৩০-৪০ হাজার টাকর কেনা বেঁচা হচ্ছে। শিশু কিশোদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে।

কম মূল্যর জন্য পরিচিত শহরের সুপারমার্কেট এলাকার পাতাল মার্কেটের দোকানদার মো. সিয়াম জানান, জ্যাকেট, হুডি, টাউজার, টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছুটির দিনে শুক্র-শনিবারে প্রচুর ক্রেতা আসছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে পোস্ট অফিস সংলগ্ন এক দোকানদার বলেন, পাইকারী পর্যায়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাও পাওয়া যায় না। তাই খুচরা পর্যায়েও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকা ও আশাপাশে এলাকায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫.৪ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ছিল ১১.৫ ডিগ্রি।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এএইচ/জেআইএম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.