মূলহোতা অধরা, শহরের বাসা ছাড়ছে নিহতের পরিবার

মুন্সিগঞ্জে জেসিকা হত্যাকাণ্ড
মুন্সিগঞ্জে স্কুলছাত্রী জেসিকা মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো মূল অভিযুক্ত বিজয় রহমান ওরফে বিজুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং মেয়ের স্মৃতি থেকে দূরে থাকতে শহরের কোটগাঁও এলাকার ভাড়া বাসা ছেড়ে দিচ্ছে জেসিকার পরিবার।

স্কুলছাত্রী জেসিকার বাবা প্রবাসী সেলিম মাহমুদ বলেন, আমার আদরের মেয়েটাকে ওরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এখনো প্রধান আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।

তিনি বলেন, খুনি বিজয় গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিদেশের মাটিতে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছি।

এ বিষয়ে নিহত জেসিকার ভাই শাহরিয়ার জিদান বলেন, খুনি বিজয়ের বাড়ি একই এলাকায়। কিছু হলে আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? পুলিশ আমাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে কিন্তু আসামিকে ধরবে কি না তা বুঝতে পারছি না।

তিনি বলেন, এ বাসায় থেকে আমার মা বারবার বোনের স্মৃতি মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। যেকোনো সময় স্ট্রোক করতে পারেন। তাই আমরা কোটগাঁও এলাকার ভাড়া বাসা ছেড়ে দিচ্ছি।

জেসিকার ভাই আরও বলেন, একটাই দাবি, দ্রুত বিজয়সহ সব আসামির বিচার যেন হয়। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, জেসিকার পরিবারকে যেকোনো মুহূর্তে নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত। তাদের পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক আছি। তার পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়মিত রাখছি।

ওসি বলেন, বিজুকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। তাকে আটক করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। সে যেখানেই পালিয়ে থাকুক শিগগির তাকে গ্রেফতার করা হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় জেসিকাকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার কথা বলেন বন্ধু বিজয়। এরপর পালিয়ে যান তিনি। গুরুতর অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে মারা যান জেসি।

তবে পরিবারের দাবি, জেসিকাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এমআরআর/এমএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.