মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদার দাবিতে রাস্তার উন্নয়নকাজ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাহবুব শাহ নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-দোহার সড়কের শ্রীনগর উপজেলার দামলা এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। এতে অংশ নেন স্থানীয় কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ। চাঁদা দাবির বিষয়ে ইউপি সদস্যের বিচারের দাবিও জানান তারা।
মানববন্ধনকারীরা জানান, সম্প্রতি কোলাপাড়া ইউনিয়নের ফুলকুচি গ্রামে উপজেলা থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের প্রায় ৮০ হাজার টাকায় একটি রাস্তার উন্নয়নকাজ শুরু হয়। কাজটি তদারকির দায়িত্ব নেন শ্রীনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগমের ভাই আব্দুর রাজ্জাক। রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য ১২ জানুয়ারি একটি পুকুরের পানি সেচ শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুব শাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি সেচের মেশিন বন্ধ করতে বলেন।
এ সময় তিনি জানতে চান তাকে না জানিয়ে কারা কাজ করছে? এক পর্যায়ে তিনি তার সাঙ্গপাঙ্গর বরাত দিয়ে বলেন, ‘পোলাপান পালতে টাকা লাগে। কাজ করতে হলে আগে পোলাপান ম্যানেজ করতে হবে।’
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন মাহবুব শাহ’র কথার প্রতিবাদ করতে গেলে তার লোকজন আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ইউপি সদস্য মাহবুব শাহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যসহ মাদক ব্যবসার আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত। মাহবুব শাহ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার কাছ থেকে সরকারিসহ যেকোনো সেবা পেতে হলে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। তার এ অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গেলেই তিনি ওই ওয়ার্ডের লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করেন। মাহবুব শাহ’র সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ অবৈধ কার্মকাণ্ড থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাহবুব শাহ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে উল্টো প্রশ্ন করেন, আমি কার কাছে চাঁদা চেয়েছি?
তিনি আরও বলেন, মানববন্ধকারীদের অধিকাংশ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী জানান, ওই ইউপি সদস্যের বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ শুনেছি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এমএস
Leave a Reply