মুন্সীগঞ্জে অবৈধভাবে চলছে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা

মুন্সীগঞ্জে লাইসেন্সবিহীন অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও ব্যবহার। মান নির্ণয় ছাড়াই এসব সিলিন্ডার গ্রামীণ জনপদের ঘরে ঘরে। দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন জেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

সরেজমিন দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের পথেঘাটে লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানে অরক্ষিতভাবে অবাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। আবার অভিনবভাবে ট্রাকভর্তি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে পাইপে করে সিএনজি স্টেশনের মতো বিভিন্ন যানে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে।

অথচ ১০টির বেশি সিলিন্ডার মজুত রেখে বিক্রির ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদফতরের সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক। আর সিলিন্ডার মজুত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি এবং আগুন নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুত, দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু এবং আলো-তাপের উৎসের কাছাকাছি না রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু এর কোনো কিছুরই বালাই নেই।

ঝুঁকি সত্ত্বেও এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন ভোক্তারা ৷ নিয়ম মানার ক্ষেত্রে নানা অজুহাত ডিলার ও বিক্রেতাদের।

ভোক্তারা বলছেন, লাইনে নিয়মিত গ্যাস থাকে না, ফলে আমাদের এ সিলিন্ডার গ্যাসের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর হাতের কাছে পাওয়ায় বাসার আশপাশের দোকান থেকেই সিলিন্ডার কিনে ব্যবহার করছি।

গ্রিন টাউন এলপি গ্যাসের ডিলার হাজি মো. মোজাম্মেল শেখ বলেন, ‘লাইসেন্স করতে যত টাকা প্রয়োজন, সে সামর্থ্য আমাদের নেই। সরকারের ফি ও দালালকে খুশি করে লাইসেন্স নিতে গেলে ব্যবসা করতে পারব না।’

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোস্তাফা মোহসিন বলেন, ‘সনদ ছাড়া অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস কেনাবেচার বিষয়ে বিক্রেতা থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘যারা অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস বিক্রি করছে, অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মুন্সীগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক মানুষ এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন। কিন্তু লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মাত্র ১৫টি।

সময় সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.