মুন্সীগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান সুমন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতকাল বুধবার তিনি লিখিত এ অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে মুন্সীগঞ্জের তিনজন সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, মুন্সীগঞ্জ গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক এবং মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে।

তাঁর অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাসপোর্টের আবেদনপত্র এবং পাসপোর্ট নবায়নের টাকা অনলাইনে জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পাসপোর্ট অফিসে যান তিনি। অফিসের গেটে এক আনসার সদস্য ১টার পর কাউকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে তাঁকে বাধা দেন। পরে অফিসে ঢুকতে পারলেও পাসপোর্ট কর্মকর্তার রুম তালাবদ্ধ পান। অফিসের সহকারী হিসাবরক্ষক উজ্জল সিকদার সজীবের কাছে পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালকের মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। আবারও ফোন নম্বর চাইলে সজীব ক্ষিপ্ত হয়ে পাসপোর্টসহ পাসপোর্ট নবায়নের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। এক পর্যায়ে হুমকি দেন বাইরে থেকে লোক আসছে শায়েস্তা করার জন্য।

সুমনকে একটি কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকার পর সুমনকে বলা হয় পরের দিন আসতে। সুমন ফিরে আসার সময় পাসপোর্ট কর্মকর্তা তানিয়া ডেকে তাঁকে উল্টো দোষারোপ করে বলেন, ‘আপনি আমার স্টাফদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন?’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক উম্মে শাকিলা তানিয়া বলেন, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উল্টো আমার অফিসের স্টাফদের সঙ্গে তিনি খারাপ আচরণ করেছেন। আমার রুমে এসেও খারাপ আচরণ করেছেন।’

কালের কন্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.