শ্রীনগরে ফসলি জমির মাটি লুট

শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ছত্রভোগ কবরস্থানের সামনে আড়িয়াল বিলের ফসলি জমির উর্বর মাটি বা টপ সয়েল লুট করা হচ্ছে। এ সব মাটি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাঁটিসহ অন্যান্য জায়গায়। বাঘড়ার বালুর চকের মৃত শাজাহান ফকিরের পুত্র আমির হোসেনের বিরুদ্ধে এই টপ সয়েল লুটের অভিযোগ উঠেছে। মাটিখেকো আমির হোসেনের নেতৃত্বে আড়িয়াল বিল এলাকার ছত্রভোগে গড়ে উঠেছে একটি সক্রিয় মাটি সিন্ডিকেট। চক্রটির তা-বে ওই এলাকায় দিন দিন ফসল উৎপাদনমুখী কৃষি জমির সংখ্য কমে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনে করছেন বেপরোয়া মাটি খেকোদের থামানো উচিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, চক্রটি আড়িয়াল বিলে ফসলি জমির উর্বর মাটি লুট কর্মযজ্ঞে এক্সকেভেটর মেশিনের (ভেকু) ব্যবহার করে যততত্রভাবে কৃষি জমি বিনষ্ট করছে। এ সব মাটি বিক্রির কাজে অসংখ্য মাহিন্দ্র-ট্রলির অবাধ যাতায়াতে জাহানাবাদ-ছত্রভোগ পাকা সড়কটির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। ট্রলির ওভারলোডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কজুড়ে জমাট ধুলাবালির ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। এতে পথচারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন।

শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ছত্রভোগ কবরস্থানের সামনে আড়িয়াল বিলের ফসলি জমির উর্বর মাটি লুট

স্থানীয়রা জানায়, প্রভাবশালী মাটি খেকোদের ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ। ভুক্তভোগী কৃষকরা জীবনের ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। রাব্বি (২২) নামে এক ট্রলিচালক বলেন, আমির হোসেনের মাটি নিচ্ছে তারা।

অভিযুক্ত আমির হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন এসিল্যান্ড অফিসের পারমিশন আছে। ছাড়পত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমি এখন দূরে আছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নিউজ করেন কোনো সমস্যা নেই। সাংবাদিকদের গুলিমারি বলে ফোনটি রেখে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক আগে ছত্রভোগে মাটি কেনাবেচা ও রাস্তায় মাটির ট্রলি চলাচল-সংক্রান্ত বিষয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। রাস্তার ক্ষতি না করার জন্য আমি তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। তারা আমার কথা শুনেনি।

বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিল জানান, মাটিখেকোরা কারও কথা শুনেন না। এরা বেপরোয়া। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক জানান, খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনকন্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.