মুন্সীগঞ্জের হাটলক্ষ্মীগঞ্জের হাটে জমজমাট কলা বেচাকেনা। কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় কলা বিক্রি বেড়েছে বলে দাবি আড়তদারদের। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের হাটলক্ষ্মীগঞ্জের হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঘ মাসেও কলায় টইটম্বুর আড়তগুলো। এই হাটে সবরি, অমৃত সাগর, নেপালী ও চাঁপাসহ হরেক রকমের কলার পসরা ঘিরে বেচাকেনা চলছে। ঋতু বৈচিত্র্যতার সঙ্গে কলার স্বাদ ও উৎপাদনে প্রভাব পড়লে শীতেও এবার কলার পর্যাপ্ত উৎপাদন হয়েছে।
এদিকে পদ্মা সেতুর কল্যাণে দক্ষিণ অঞ্চলের কলাও ট্রাকে দ্রুত এখানে পৌঁছে যাচ্ছে। আবার নৌপথেও আসছে। নানা অঞ্চলের কলা আসায় বিক্রি বেড়েছে।
মুন্সীগঞ্জ হাটলক্ষীগঞ্জ পাইকারি কলার আড়তে হালিপ্রতি চাঁপা কলা ১০ থেকে ১৫ টাকায়, সবরি ১৫ থেকে ৩০ টাকায়, অমৃত সাগর ১৫ থেকে ২৫ টাকায়, সবুজ নেপালী ১০ থেকে ১৫ টাকায়, নেপালি সাগর ১০ থেকে ১৮ টাকায়, কবরি ১৫ থেকে ২০ টাকায়, অগ্নিশ্বর ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, বিচি ৮ থেকে ১০ টাকায় এবং আনাচ ১৫ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন, এখানের কলায় কোনো কেমিক্যাল দেয়া হয় না। তাই এ কলার চাহিদা ভালো। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে কলা বর্তমানে আগের তুলনায় সাশ্রয়ে পাচ্ছি।
এদিকে কলা বাজারজাত ও পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন মুন্সীগঞ্জের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ ফলের আড়ত সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান। তিনি বলেন, বাগান থেকে কলা কেনার পরে তা পরিবহনে চাঁদাবাজি হয়। এতে কলার দাম অনেক বেড়ে যায়।
অবশ্য চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক এবিএএম ওয়াহিদুর রহমান। তিনি বলেন, কৃষকের উৎপাদিত কলা পরিবহনে বা বিপণনে যদি কোনো চাঁদাবাজি হয়, সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ছাড়া রামপালের কলার বিলুপ্তি ঠেকানোসহ কলার উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
জেলায় এ বছর ৪৮ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এর বড় একটি অংশ ধলেস্বরী তীরে অবস্থিত ১৫টি আড়তে বিক্রি হয়।
সময় সংবাদ
Leave a Reply