শ্রীনগরে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী-বাড়ৈগাঁও বাজার পাকা সড়কে নির্মিত সেতুর দুই পাশে সংযোগ রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তি শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। প্রায় আড়াই বছর আগে বিবন্দী-বাড়ৈগাঁও (কর্কটপাড়া) সড়কের কুকুটিয়া ইউনিয়নের টুনিয়ামান্দ্রা ও বিবন্দী দুই গ্রামের সীমানাবর্তী খালের ওপর এলজিইডি’র বাস্তাবায়নে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও ওই সেতুর সংযোগ রাস্তার পাকাকরণ হয়নি। এতে সেতু পারাপারে পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই সেতুতে উঠা-নামা করতে গিয়ে ইজিবাইক, সিএনজি ও মোটরসাইকেল উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সড়কটির বিবন্দী ও টুনিয়ামান্দ্রা গ্রামের মাঝখানে খালের ওপর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এ কাজের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান ট্রেডার্স সেতুটির নির্মাণ কাজ করে। অথচ নির্মিত সেতুর দুই পাশে অন্তত ১৫ ফুট করে সংযোগ রাস্তার ঢালাই কাজ না হওয়ায় এ সেতুর সুফল পাচ্ছে না জনসাধারণ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুর্ব-পশ্চিমমুখী নির্মিত কালভার্টটির অবস্থান সমতল পাকাসড়ক থেকে ৫/৬ ফুট উপড়ে। সেতুর দুই পাশের সংযোগের ঢালু রাস্তার বালু মাটি সরে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে সেতুতে উঠা-নামা করতে পারছে না চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন। ঢালুতে গাড়ির চাকা দেবে আটকে ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যান। দুর্ঘটনার শঙ্কায় পরছেন যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানায়, বিবন্দী-বাড়ৈগাঁও বাজার শাখা সড়কটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক হওয়ায় প্রতিদিন অত্র এলাকার ২০-২৫ হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করে বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করছেন। সেতুর দুই পাশে এটুকু সংযোগ রাস্তা বেহালের কারণে চলাচলে মানুষ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতুর সুফল পাচ্ছে না তারা। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সংযোগ রাস্তার দ্রুত সংস্কারে দাবিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

ওই এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, সেতু নির্মাণের পর ঠিকার সংযোগ রাস্তা পাকাকরণ না করে কোন রকম মাটি ফেলে চলে যায়। গত দুই বছরে এলাকাবাসী ও অটো চালকরা নিজস্ব অর্থায়নে ইটের খোয়া ও বালু ফেলে সংযোগ রাস্তার মেরামত করেন। এখন সেতুর সংযোগ রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, সেতুর দুই পাশের রাস্তার ঢালুতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামনে বৃষ্টির মৌসুম আসলে সেতুর সামনে কাঁদামাটি জমে থাকে। গেলো বছর এখানে একাধিকবার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সংশ্লিষ্ট এলজিইডি অফিসকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এতে কোনো লাভ হয়নি।

শ্রীনগর উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.