মুন্সিগঞ্জে ফুলের দামে আগুন

পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপনকে ঘিরে মুন্সিগঞ্জের ফুলের বাজার এখন আগুন। বিগত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কয়েকগুণ বেশি দামে ফুলের বেচাকেনার চিত্র দেখা গেছে জেলার সর্বত্র। সাধারণ সময়ের ১০-১৫ টাকার গোলাপ এদিন ৩০-৫০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। তুলনামূলক বেশি দাম ছিল অন্য ফুলগুলোতেও।

বিকেল ও সন্ধ্যায় সরেজমিনে সুপার মার্কেট, কাচারি চত্বর, সিপাহীপাড়া এলাকা দেখা যায়, স্থায়ী দোকান ছাড়াও ফুল বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে রাস্তার বিভিন্ন স্থানজুড়ে। প্রতি দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ফুল কিনতে আগ্রহী। গোলাপ, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, ঝাড়বাড়াসহ বিভিন্ন ফুলের পসরা বসছে। তবে গোলাপের প্রতি আকর্ষণ ছিল সবার বেশি।

কয়েকটি ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, রজনীগন্ধা প্রতিপিস ২০ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস প্রতিস্টিক ২৫-৩০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা পিস ১০ টাকা, গাঁদা ফুলের মালা ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অসীম কুমার চক্রবর্তী নামের এক ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ফুলের দাম অনেকটাই বেশি। আগে যে ফুল ১০-১৫ টাকায় কিনেছি, এখন সেখানে গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।

স্বর্ণা নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আজই ফুলের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ভালোবাসা দিবসে যে কী হবে তা বলা যাচ্ছে না। তাই আগেভাগেই কিনতে এলাম। কিন্তু দাম বেশি। মাথার ক্রাউন নরমালি ৮০ টাকায় বিক্রি হয়, এখন ১৫০ টাকা।’

তবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামে কেনা পড়ছে। এজন্য তারা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফুল সংকটের দাবিও করেন কয়েকজন।

স্থায়ী ফুল বিক্রেতা জোবায়ের বলেন, ‘গোলাপ পাইকারি কিনতে হচ্ছে ১৮-২০ টাকায়। পাইকারি দাম বেড়েছে তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তা না করে তো আর উপায় নেই।’

অস্থায়ী ফুল বিক্রেতা মো. নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকার শাহবাগে ফুল আনতে গিয়েছিলাম। ২০ হাজার টাকার ফুল আনছি। কারণ ফুল নেই, সংকট। এজন্য দামও বেশি।’

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জিকেএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.