শ্রীনগর সরকারি কলেজ ফান্ডের আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধার হয়নি!

শ্রীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করার ঘটনায় এখনও ফান্ডের টাকা উদ্ধার হয়নি। কলেজটির অফিস সহকারী রায়হান ইসলাম অপু বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে। কলেজটির বাৎসরিক অডিটে এই অর্থ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। রায়হান ইসলাম অপুর এই অর্থ আত্মসাৎতের সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়ার পর আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার শর্তে অভিযুক্ত অপুর সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়টি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবরের শিরোনাম হলে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠে। সূত্রমতে জানা যায়, লিখিত চুক্তির প্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও রায়হান ইসলাম অপু ওই টাকা এখনও ফেরত দেয়নি। গত বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে কর্মস্থলে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মাহবুব সরফরাজের স্বাক্ষাত পাওয়া যায়নি। কলেজটির হিসাব রক্ষকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রসঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি হিসাব রক্ষক ওই নারী তার নিজের নাম পর্যন্ত জানাতে রাজি হননি।

পরে মোবাইল ফোনে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মাহবুব সরফরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কলেজের কাজে তিনি এখন বাহিরে আছেন। রায়হান ইসলাম অপুর অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়ে তিনি বলেন, সে মাস্টার রোলের কর্মচারী। তাই ওর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কিছু নেই। যেহেতু ওর বাবা আমাদের এই কলেজের সরকারি কর্মচারী, তার কাছ থেকেই টাকা আদায় করার ব্যাপারটা চলমান আছে। আশা করছি শীঘ্রই আত্মৎসাতের টাকা উদ্ধার হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রায়হান ইসলাম অপুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, অফিস সহকারী রায়হান ইসলাম অপু মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শ্রীনগর শাখায় সরকারি এই কলেজের ব্যাংক হিসাবের ১০/১২টি চেকের মাধ্যমে স্বাক্ষর জাল করে পর্যায়ক্রমে মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করে। সে সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর চেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উঠায়। বাৎসরিক অডিটে বিষয়টি ধরা পরলে গত জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কলেজ ফান্ডের টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়ে নন জুডশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জানুয়ারি রোববার প্রথম ধাপে ২ লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে ফেরত দেয়ার কথা বলে মাত্র ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। শ্রীনগর উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার সিরাজের ছেলে রায়হান ইসলাম অপুর বাড়ি ফরিদপুরে।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.