শ্রীনগরে কুকুটিয়া-গোয়ালিমান্দ্রা সড়কে ভোগান্তি

শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কুকুটিয়া পশ্চিম পাড়া-গোয়ালিমান্দ্রা প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেহাল সড়কে এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের নামে প্রায় ৩ মাস ধরে ফের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় ৪/৫ বছর আগে এলজিইডি’র রাস্তাটি পাকা করণে টেন্ডার পায় ঠিকাদার। কাজের নামে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তার কোথাও কোথাও পুকুর করে রাখা হয়েছে। এতে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ অবস্থায় মানুষের পাঁয়ে হেঁটেই চলা দুস্কর হয়ে পড়েছে। অপরদিকে এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পণ্য রাস্তার অভাবে বাজারজাত করতে বিকল্প উপায় খুঁজে পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুকুটিয়া বাজারের পশ্চিমদিকে কালভার্ট থেকে গোয়ালিমান্দ্রা হাটের সংযোগ রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটির সংস্কার কাজের নামে যত্রতত্রভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে। দেখার যেন কেউই নেই। মানুষের দীর্ঘপথ হেঁটে পাড়ি দেয়া ছাড়া বিকল্প উপায় পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বেহাল রাস্তায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে স্কুলের কোমলমতি শিশু, অসুস্থ রোগী ও বয়স্ক মানুষ চলাফেরা করছেন।

জানা গেছে, বিকল্প পথ না থাকায় দিনের পর দিন অত্র এলাকার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মো. জাফর, আনোয়ার বেপারী, আমিনুল ইসলাম, আমিনা বেগম বলেন, কয়েক বছর ধরে কাজের নামে রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। মাঝে ৩ মাস আগে পুনরায় কাজ শুরু করতে দেখা গেলেও রহস্যজনক কারণে এখন কাজ বন্ধ আছে। এর প্রায় ৫ বছর আগে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে ফেলে রাখা হয়। স্কুলের বাচ্চারা ও বৃদ্ধ মানুষ চলাফেরা করতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী আনা নেয়া করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে অসুস্থ্য রোগী হাসপাতালে নিতে বিপাকে পরতে হচ্ছে স্বজনদের।

স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম কাননের ভাই ঠিকাদার মো. মিজান শেখকে এই সড়কের কাজের সময় আসতে দেখা যেতো।

কুকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল হোসেন বাবু জানান, আমার জানামতে কয়েক বছর আগে ঠিকাদার আবুল কালাম কানন এই রাস্তাটি পাকা করণের কাজ পেয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। কচ্ছপ গতির কাজে কোন ধারাবাহিকতা নেই। এ পর্যন্ত কুকুটিয়া বাজার সংলগ্ন মাত্র ১০০ ফুট রাস্তায় ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। ৩ মাস যাবত কাজ বন্ধ আছে। গত ১৬ তারিখে উপজেলা পরিষদে মাসিক সভায় কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছি। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় ইউনিয়নবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শ্রীনগর উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দিচ্ছি।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.