ছাত্রলীগ-যুবলীগনেতার খাল দখল করে বালু ভরাট, ইউএনওর উচ্ছেদ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় রজতরেখা নদীর শাখা খালের প্রবাহ বন্ধ করে বালু ভরাটের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তা উচ্ছেদ করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সদর উপজেলার চরকেয়ার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুলতান কাজী বাবু ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত আহমেদ শাকিলের বিরুদ্ধে খাল দখল করে এ বালু ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল জুনায়েদ। এ সময় বালু ভরাটের সঙ্গে জড়িতে মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন (৩৯) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ছোট মোল্লাকান্দি এলাকা সংলগ্ন খালটি দখল করে বালু ভরাট করছিল স্থানীয় একটি চক্র। যার নেতৃত্ব দেন সুলতান কাজী বাবু ও রাহাত আহমেদ শাকিল। এতে খালটির পানি প্রবাহ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আজ দুপুরে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বালু ভরাটের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন ইউএনও। এ সময় আটক করা হয় একজনকে। পরে পাইপ বিনষ্ট করে বেকু দিয়ে ভরাট করা বালু অপসারণ করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক করা ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত আহমেদ শাকিল বলেন, ‘এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের ঠিকাদার সেতু নির্মাণের জন্য এখানে বালু রেখেছিল সাময়িক সময়ের জন্য। তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবে। প্রতিহিংসার কারণে আমাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবুর রহমান জানান, আটক ব্যক্তিকে দুই মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভরাট করা বালু উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সব বালু সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এনটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.