রাহমান মনি: সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে উদযাপিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করে।
এবছর একুশের প্রথম প্রহরে প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে টোকিও শহীদ মিনার বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে দূতাবাস প্রাঙ্গনে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক এবং স্থানীয় জাপানি নেত্রীবৃন্দের অংশগ্রহনে রাষ্ট্রদূত শাবুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করেন ।
এরপর ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন প্রথম সচিব (লেবার) মোঃ জয়নাল আবেদিন ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী , পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও জাতিসঙ্গের বিশেষ দূত প্রদত্ত বাণী সমুহ পাঠ করা হয় । বাণীগুলি পাঠ করেন যথাক্রমে ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অফ মিশন শাহ আসিফ রহমান , মিনিস্টার (কমার্স ) ডঃ আরিফুল হক, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল ), দুতালয় প্রধান শেখ ফরিদ এবং দূতাবাস কাউন্সেলর মোহাম্মদ বশির ।
এরপর রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীরঙ্গনা মা-বোনদের। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ’৫২র ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি ।
রাষ্ট্রদূত বলেন , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত। করোনা ভাইরাসের মহামারির সঙ্কট মোকাবিলা করেও বাংলাদেশে আশাব্যঞ্জক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান ।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর তাৎপর্যে উন্মুক্ত আলোচনায় জাপানি এবং প্রবাসী নেতৃবৃন্দরা অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন ।
এরপর দিবসটির উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় ।
সবশেষে আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা শেষ হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাস কাউন্সেলর মোহাম্মদ বশির ।
Leave a Reply