বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কাজি আব্দুল ওয়াহিদ । মঙ্গলবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও টংগিবাড়ী উপজেলা উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান ইঞ্জিনিয়ার কাজি আব্দুল ওয়াহিদ। দুই বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক মিয়া বাচ্চু মাঝি ও সোনারং টংগিবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত খান রুবেল। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে বাচ্চু মাঝি ও ঋণ খেলাপির অভিযোগে রাহাত খান রুবেলের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে তারা এ ব্যাপারে আপিল করলে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শুনানি শেষে আপিলেও তাদের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ আদালতে রিট করলে রিটও খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত।

এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার কাজি আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, উচ্চ আদালতে নির্বাচন সংক্রান্ত যে রিটটি দাখিল করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

এ ব্যাপারে রাহাত খান রুবেল বলেন, আমার রিটটি উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আর আপিল করব না। তবে আগামীতে আবারো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও টংগিবাড়ী উপজেলা উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, আগামী ১৬ টংগিবাড়ী উপজেলা উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। নির্বাচনে মোট তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে ঋণ খেলাপি ও ভোটার লিস্টের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করলেও হেরে যান। তখন বিধি অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ার কাজি আব্দুল ওয়াহিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

উচ্চ আদালতে রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ উচ্চ আদালতে রিট করলে সেটা আদালত নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। সেটা আলাদ বিষয়। তবে এখন ইঞ্জিনিয়ার কাজি আব্দুল ওয়াহিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হাওলাদার ভূতু গত ১৭ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ব.ম শামীম/আরএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.