৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছিল সেতুটি

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হ্যাল কাফি বলেন, ‘যেহেতু খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট হয়ে গেছে, তাই সেখানে আর সেতুর প্রয়োজন নেই। সেতুটি ভেঙে ফেলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির দরকার হয়ে পড়েছে। অনুমতি পেলে সেতুর অকশন করা হবে।’

বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে অ্যাপ্রোচ সড়ক বিলীন হয়ে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে খালের বুকে কেবলই দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি সেতু। দূর থেকে তাকালে মনে হবে খালের পানিতে যেন ভাসছে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নগরজোয়ার গ্রামের পদ্মা নদীর শাখা ওই খালে সেতুর এমন করুণ দৃশ্য। ২০২৮-১৯ অর্থ-বছরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে উপজেলা পরিষদ ওই সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে।

এ সেতুর ওপর দিয়ে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের আটিগাঁও, হাসাইল, বানারী, পাঁচনখোলা ও মান্দ্রা গ্রামের বৃহৎ জনগোষ্ঠী যাতায়াত করত। একই সঙ্গে সেতুর দুপাশের সড়কে পার্শ্ববর্তী জেলা শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও গড়ে উঠে। নগরজোয়ার গ্রামের সেতু পেরিয়ে জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা পদ্মা নদী দিয়ে যাতায়াত করে আসছিল।

পদ্মার শাখা খাল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বেশ খরস্রোতা ছিল। আর স্রোতের তীব্রতায় গেল বর্ষায় এ খালে ভাঙন দেখা দেয়। এতে সেতুর দুপাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক খালে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু চলতি শীত মৌসুমে খরস্রোতা ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খালের বিভিন্ন স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে।

হাসাইল-বানারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আ: কাদির বেপারী বলেন, ‘বর্ষায় ভাঙলেও শীতের মৌসুমে খালের বিভিন্ন স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। সেতুর দু’পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এখন শুধুমাত্র সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে খালের বুকে। দেখে মনে হবে খালের পানিতে ভাসছে।’

নগরজোয়ার গ্রামের আব্দুল মজিদ বেপারী বলেন, ‘পদ্মার শাখা এ খালে ভাঙনের কারণে সেতুর দুপাশের এপ্রোচ বিলীন হয়। একপাশে সেতু দেবেও গেছে। আবার বিভিন্ন স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। কয়েকটি স্থানে খালের চিহ্ন পর্যন্ত নেই।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হ্যাল কাফি বলেন, ‘যেহেতু খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট হয়ে গেছে, তাই সেখানে আর সেতুর প্রয়োজন নেই। সেতুটি ভেঙে ফেলতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির দরকার হয়ে পড়েছে। অনুমতি পেলে সেতুর অকশন করা হবে।’

নিউজবাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.