শ্রীনগরে রাস্তার কাজ বন্ধ করার জন্য রান্না ঘরে আগুন দেয়ার নাটক

জেলার রাস্তার কাজ বন্ধ করার জন্য রান্না ঘরে আগুন দেয়ার নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগে বাড়ৈখালী, ইউনিয়নের শ্রীধরপুর এলাকায় শাহজাহান দেওয়ানের বাড়ি থেকে আজগর আলী শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ ফুট রাস্তার কাজ শুরু হয়। প্রতিবেশীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন তার পুকুরের দুই পাড় ও বাড়ির জায়গা ছেড়ে দেন। রাস্তাটির প্রকল্পের সদস্য সচিব ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস জানান, এটি কোন রেকর্ডীয় রাস্তা নয়। ওয়ান পার্সেন্ট থেকে আড়াই লাখ টাকা ও চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী মিলে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে প্রায় ৮৫০ ফুট দীর্ঘ রাস্তার মধ্যে চেয়ারম্যান তার পুকুর ও বাড়ি থেকে প্রায় ৫শ’ ফুট ছেড়ে দিয়েছেন।

শুধু তাই নয় রাস্তার জন্য চেয়ারম্যান তার বাড়ির ওয়াল ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি বড় গাছ কেটে দিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে রাস্তা থেকে প্রায় ৩০ ফুট দুরে হাজেরা বেগম নামে এক নারীর রান্নাঘর পুড়ে যায়। এই অজুহাতে ওই নারী এখন রাস্তা নির্মাণে নিষেধ করছেন। অপরদিকে হাজেরার ছেলে সৌদি আবর থেকে ফেসবুকে পোস্ট করে ভিত্তিহীন মন্তব্য ও গুজব ছড়িয়ে চেয়ারম্যানের সম্মান ক্ষুন্ন করছে। ফারুক হোসেন আগে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম তালুকদার বলেন, রাস্তাটি এই এলাকার মানুষের জন্য খুবই দরকার। কেউ জায়গা দেয়নি বলে আমি করে যেতে পারিনি।

এখন বর্তমান চেয়ারম্যান যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন মাস্টার বলেন, চেয়ারম্যান হিসাবে ফারুক হোসেন যে ছাড় দিয়েছে বিরল। হাজেরা বেগম বলেন কে বা কারা রাস্তা নির্মাণের জন্য রাতে রান্না ঘরে আগুন দিয়েছে। রাস্তা নির্মাণের সাথে আগুনের কী সম্পর্ক এমন প্রশ্নে সে কোন উত্তর দিতে পারেননি। বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে তা আমার বাড়ির লোকজনের

চলাচলের জন্য প্রয়োজন নেই। পাড়ার লোকজনের কথা চিন্তা করে কোটি টাকার সম্পত্তি ছেড়ে দিয়েছি। এখন ওই নারী ও তার সন্তান উল্টো আমার বিরুদ্ধে অপবাদ রটাচ্ছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রান্নাঘর পোড়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজজি/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.