মুক্তারপুর সেতুতে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে দেড় লাখ টাকা ছিনতাই!

মুন্সীগঞ্জ মুক্তারপুর সেতু দক্ষিণ পাড় এলাকায় ভয়ঙ্কর মাদক শয়তানের নিঃশ্বাসের (অজ্ঞান করার স্প্রে) ব্যবহারে দেড় লাখ ছিনতাই করা হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তারপুর সেতুর সিঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

দেড় লাখ টাকা হারিয়ে এখন দিশেহারা প্রাণ কোম্পানির সেল্স রিপ্রেজেন্টিটিভ আতিক (২৬)। শয়তানের নিঃশ্বাস ব্যবহারে প্রথমে একজন মাদরাসা শিক্ষক ৪০ হাজার টাকা হারালেন। দ্বিতীয় শিকার একজন নারী, তিনিও ৪০ হাজার টাকা খুইয়েছেন। এবারের শিকার প্রাণ কোম্পানির এসআর। তার হাতছাড়া হলো দেড় লাখ টাকা!

মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার প্রাণ কোম্পানির মার্কেটিং শাখার এস আর আতিক (২৬) জানান, মুক্তারপুর থেকে দোকানে দোকানে বিল উঠিয়ে মালির পাথর হয়ে সেতু এলাকায় এলে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েন। নদীর পাড় দিয়ে ভেতরে যাওয়ার ছোট গলি দিয়ে ঢোকে। এ সময় হালিম ও চটপটির দোকানের সামনে এলে চোখে মুখে স্প্রে করে ওঁত পেতে থাকা লোকেরা। স্প্রে করলে চোখ-মুখ বন্ধ হয়ে যায় তার।

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় তিনজন জড়িত ছিল। স্প্রে করার পরে কি হয়েছে, আমার কিছু মনে নেই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার জ্ঞান ফিরলে দেখেন, তিনি হাসপাতালে। তার ব্যাগে এক লাখ ৪২ হাজার টাকা ছিল।

এই এলাকায় প্রতিদিনই এমন কিছু ঘটে বলে একের পর এক অভিযোগ হয়ে থাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায়। এমনকি মুক্তারপুর ফেরিঘাট, তেলের পাম্প এবং সেতু এলাকায় এই ধরণের ছিনতাই ও চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে।

ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মতিউর রহমান (২৩) মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি বলেন, ভাইয়ের কাছ থেকে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে অচেতন অবস্থায় টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

মুক্তারপুর এলাকার পথচারী আবু ইউসুফ বলেন, এই এলাকায় ৫০ টাকা পকেটে নিয়ে যেতে এখন ভয় হয়। আবার শুরু হয়েছে ৯০ দশকের চুরি ও ছিনতাই। আগের দিনে শুনতাম ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় এমন ঘটনা ঘটত। এখন আর ঢাকায় নয়, মুন্সীগঞ্জেও এসে গেছে শয়তানের নিঃশ্বাসের প্রয়োগ করা আধুনিক চুরি ও ছিনতাই।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার এস আই শহিদুল্লাহ বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে চার্জে এসেছি, আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনি ওই ফাইল ওসি সাহেবের কাছে জমা দিয়েছেন। আমি বিষয়টি জানি না। তবে যার কাছে তদন্তের দায়িত্ব পড়বে, তিনি কাজ করবেন।

নয়া দিগন্ত
প্রকাশকাল ৮ মার্চ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.