জালজালিয়াতি করে ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারার অভিযোগ

শ্রীনগরে জালজালিয়াতি করে ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। শ্রীনগর সদর এলাকার রানী জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা হারুন অর রশিদ তালুকদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

দেখা গেছে, শ্রীনগর মৌজায় সাবেক এসএ ৯০৬, আরএস ১০০৩নং দাগে ১২.৮৭ শতাংশ জমির মালিক মরহুম আ. ছামাদ তালুকদারের ছেলে হারুন অর রশিদ তালুকদার ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ শাহনাজ পারভীন। অপর একটি দলিলে একই মৌজায় এসএ ৭৬৯ ও ৮০৬, ডিপি ৩৬০নং খতিয়ানভুক্ত আরএস ১০০৩নং দাগে জমির পরিমান ১২.৮৭ শতাংশ। এতে হারুন অর রশিদ তালুকদার ও তার স্ত্রী মোসামৎ শাহানাজ পারভীন মোট ২৫.৮৭ শতাংশ জমির সমান ভাগে মালিক। এই দম্পতির কোন ছেলে সন্তান না থাকায়। হারুন অর রশিদ তালুকদার হজে যাওয়ার সময় তার নিজের অংশ দুই মেয়েকে লিখে দেন। অপরদিকে হারুন অর রশিদের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে মারা গেলে শাহানাজ পারভীনের ৩ ভাই ও ভাতিজারা বেরাদরী মালিক হন।

স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর ঝুমুর সিনেমা হল রোডের পোদ্দার পাড়া ওই জায়গায় ২০০১ সালে রানী জেনারেল হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। দোকানঘর আর পেছনে পুকুর।

জানা গেছে, হারুন অর রশিদ তালুকদার ২০১৪ সালে হজ করতে যাওয়ার পূর্বে তাহার দুই মেয়েকে তিনি তার অংশের ১২.৮৭ শতাংশ জায়গা রেজিষ্ট্রি করে দেয়। হারুন ও শাহনাজ পারভীন দম্পতির ছেলে সন্তান নাই দুই মেয়ে শাহিন সুলতানা হ্যাপী ও সাদিয়া সুলতানা তন্নীকে নিয়ে ধানমন্ডি কলাবাগানে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মোসাম্মৎ শাহনাজ পারভীন মৃত্যুবরণ করেন, যার ফলে শাহনাজ পারভীনের বেরাদরী ওয়ারিশ হিসাবে তার ৩ ভাই ও ভাতিজারা মোট সম্পত্তির ৩.২২ শতাংশ জমির মালিক হন। অভিযোগ উঠেছে হারুন অর রশিদ তালুকদার কাগজপত্র বিভিন্নভাবে জালজালিয়াতি করে হাসপাতালসহ জায়গায়াটি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। এ বিষয়ে হারুন অর রশিদ তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তার প্রতিষ্ঠান রানী জেনারেল হাসপাতালে গিয়েও তার সাক্ষাত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মরহুম শাহানাজ পারভীনের ভাতিজারা জানান, ছোট ফুপুর রেখে যাওয়া সম্পদের বিষয়ে তারা অবগত। মৃত্যু পূর্বে ফুপু আমাদেরকে বলে গেছেন তিনি কাউকে নিজের সম্পত্তি লিখে দিয়ে যায়নি।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.