মুন্সীগঞ্জে আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক

১০টি পরিবার থেকে কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে মাকসুদুর রহমান আসিফ (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। প্রতারক আসিফ মুন্সীগঞ্জ সদর থানার মধ্য মহাকালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন।

১০ পরিবারের মধ্যে কয়েকজনই জানিয়েছেন আসিফের প্রতারণার ঘটনা। কয়েকটি রাষ্ট্র থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনা এবং স্মার্ট ফোন এনে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করার নাটক সাজায় প্রতারক আসিফ। লোভনীয় সেই ব্যবসার কথা বলে প্রতারক আসিফ ১০টি পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় আড়াই কোটি টাকা।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা একাধিক সিআর মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না। কারণ সে অন্য জেলায় আত্মগোপনে করে আছে।

এই আড়াই কোটি টাকার মধ্যে পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাও গ্রামের সবুজ মাদবরের ছেলে সুজনের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আসিফ। সুজন জানান, তিনি তার ঘনিষ্ঠ জনের কাছ থেকে হওলাত নিয়ে টাকা দিয়েছেন। এখন পাওনাদার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। গোসাইবাগ এলাকার আবুলের ছেলে তারেক হোসেন জানান, তার কাছ থেকে প্রতারণা করে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়েছে আসিফ। এই টাকা তিনি অগ্রণী ব্যাংক মুন্সীগঞ্জ শাখা থেকে লোন নিয়েছেন। এখন টাকা ফেরত না পাওয়ায় ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। প্রতারক আসিফ ও তার পরিবারের কোনো সদস্যকেই এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ছাড়া কাওছার হামিদের কাছ থেকে ৩৫ লাখ, রাসেলের কাছ থেকে ৩০ লাখ, কামালের কাছ থেকে ৩৫ লাখ, রিনার কাছ থেকে ৩৫ লাখ, আরমানের কাছ থেকে ২৮লাখ, রিয়াদের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় প্রতারক আসিফ।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আরো অনেকের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে আসিফ। এলাকাবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব আসিফকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

নয়া দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.