সিরাজদিখানে বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নতুন চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লতব্দী ইউনিয়নের (কংশপুরা গ্রাম) ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন সেন্টু ও জহিরুল ইসলাম জহিরের সাথে একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. মামুন হোসেনের দীর্ঘ দিন যাবৎ বালুর ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেড়ে সোমবার বেলা ১১টায় সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন সেন্টু ও ইকবাল হোসেন ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন হোসেন ও তার সমর্থকদের বাড়ীঘর ভাঙচুর লুটপাট করে। এ সময় ৮টি বাড়ী ভাঙচুর, ১৫০ ভড়ি স্বর্নালংকার, ফার্মের গরু লুট করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মামুন হোসেন জানান, সাবেক মেম্বার সেন্টু আর ইকবাল ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ আমার বাড়ীসহ মোট ৮টি বাড়ী ভাঙচুর, ১৫০ ভরি স্বর্ন, আমার আত্মীয় ছিদ্দিকের ‘পাভেল ডেইরী’ ফার্ম হতে বেশ কয়েকটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের প্রায় ২ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন সেন্টু বলেন, সম্পূর্ন মিথ্যা কথা তারা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য মামুনের বাড়ী ঘর ভাঙচুর, স্বর্নলংকার ও খামার থেকে কয়েকটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা।
সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তবে কয়টা বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। পুলিশ পাঠিয়েছি, আমি নিজেও সেখানে যাচ্ছি। একটু পর বলতে পারব।
নিউজজি
Leave a Reply