খ্যাতি হারাচ্ছে ‘আলুর রাজধানী’ মুন্সীগঞ্জ

শুভ ঘোষ: একসময়ের আলু উৎপাদনের শীর্ষে থাকা জেলা মুন্সীগঞ্জের উৎপাদিত আলু, দেশের মোট আলুর চাহিদার এক তৃতীয়াংশ মিটিয়ে বিদেশে রফতানি হয়েছে। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে জেলায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে আলুর উৎপাদন। যুগ যুগ ধরে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদনের যে সুখ্যাতি ছিল মুন্সীগঞ্জ তথা বিক্রমপুরের তা এখন শুধুই স্মৃতি। কৃষক পর্যায়ে বছরের পর বছর ধরে জমি থেকে আলু উত্তোলন শেষে বিক্রির পর কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে ভারী হয়েছে লোকসানের পাল্লা। এতে আলুর চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় আলু চাষিরা। পুঁজি হারিয়ে পেশা বদল করেছেন অনেকেই।

জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকভাবে জেলায় কমেছে আলুর উৎপাদন। দেশের অন্যান্য আলু উৎপাদনকারী জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ।

অধিদফতরের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে। এভাবে লক্ষ্যমাত্রা হারিয়ে বিগত বছরগুলোতে কমেছে উৎপাদন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭৯০০ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে ৩৫৭৯৬ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮৫০০ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে ৩৭৮৫০ হেক্টর জমিতে। ২০২০ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬৪৯৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ৩৭৫৯০ হেক্টর জমিতে। ২০১৯ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮৮০০ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে ৩৮৯০০ হেক্টর জমিতে।

আলু রোপন মৌসুম থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত, কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। তবে কৃষকদের আলু বিক্রি করে দেওয়ার পর ফরিয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই কৃষি বিভাগের।
ডা. মো. আব্দুল আজিজ, উপপরিচালক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর

প্রতিবছর গড়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয় মুন্সীগঞ্জে। জেলার ৬৮টি কোল্ডস্টোরেজের ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। তাই উৎপাদিত বাকি আলু নিয়ে প্রতিবছরই কৃষকের হিমশিম খেতে হয়।

এবার কোল্ডস্টোরেজে (হিমাগারে) সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তোলন শেষে কম লাভে জমি থেকেই বিক্রি করে দিয়েছেন অধিকাংশ কৃষক। জেলায় এবছর ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৪৫০ হেক্টর কম জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে চলতি বছর। কৃষকের আলু চাষে আগ্রহ হারানোর পেছনে নেপথ্যে থাকা মধ্যস্বত্ব ভোগী ফরিয়া ব্যবসায়ীদের দায়ী করছে কৃষি বিভাগ।

এদিকে জেলার ৬৩টি হিমাগারে চাহিদার চেয়েও দ্বিগুণ পরিমাণ আলুর মজুদ থাকলেও দেড় মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কয়েক দফা বেড়েছে দাম।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ বাজার তদারকি না থাকায় নানা অজুহাতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুতে দামের পার্থক্য এখন নয় থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি খুচরা বাজারে কয়েক দফা আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আলু ক্রয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

তবে এ নিয়ে বাজারে নানা অজুহাত রয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে আলুর দাম। তবে কৃষি বিভাগ বলছে এখনো পর্যাপ্ত আলুর মজুদ রয়েছে জেলার বেশির ভাগ হিমাগারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে আরও জানা যায়, জেলার ৬৭টি হিমাগারের মধ্যে বর্তমানে সচল থাকা ৬৩টি হিমাগারে (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত মজুদ রয়েছে তিন লাখ ২১ হাজার ২১১ মেট্রিকটন আলু।

এর মধ্যে খাবার আলু মজুদ রয়েছে দুই লাখ ৩৫ হাজার ৮৫২ মেট্রিক টন। আর বীজ আলুর মজুদ রয়েছে ৭৭ হাজার ৫৮১ মেট্রিন টন।

খুচরা বাজারে কয়েক দফা মূল্য বৃদ্ধির পর বিগত তিন মাসে হিমাগার থেকে বাজারজাত হয়েছে ৫৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিন টন আলু।

চলতি বছর মুন্সীগঞ্জে হেক্টর প্রতি আলুর উৎপাদনে গড়ে খরচ হয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন অথবা ৩০ হাজার ৭৫০ কেজি আলু। অর্থাৎ চলতি মৌসুমে আলুর উৎপাদন ও পরিবহন খরচসহ সংরক্ষণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজিতে ১১ থেকে ১৩ টাকা।

বর্তমানে হিমাগারের মজুদকৃত এসব আলু প্রায় কয়েকগুণ বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কোল্ড স্টোরে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত আলু মজুদ রাখা পাইকারি ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারেও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবু নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। শিগগির জোরালো পদক্ষেপে যেতে হবে আমাদের। বিশেষ করে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে।
আব্দুস সালাম, সহকারী পরিচালক, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে সদর উপজেলার মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট ও চর মুক্তারপুর এলাকায়, বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ, রিভারভিউ, কদম রসুল, এলাইট, নিপ্পন, দেওয়ান আইস, নিসান ও টঙ্গীবাড়ী কোল্ডস্টোরেজসহ আরও বেশ কয়েকটি হিমাগার ঘুরে দেখা গেছে, এসব হিমাগারে এখনো সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ আলুর পাইকারি বেচাকেনা অব্যাহত রয়েছে। হিমাগারের ভেতরে সংরক্ষিত আলুর বাছাই প্রক্রিয়া শেষে বস্তাবন্দি করছেন শ্রমিকরা। হিমাগারগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৭ টাকা পর্যন্ত। এতে ৫০ কেজি ওজনের প্রতিটি বস্তার দাম পড়েছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা।

অথচ হিমাগারগুলো থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরের কাঁচামাল বিক্রির বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একই আলু সেখানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে। অর্থাৎ পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজিতে নয় থেকে ১৩ টাকা খুচরা বাজারে বাড়তি দাম দিয়ে ভোক্তাদের খেতে হচ্ছে প্রতিদিনের খাবারের অন্যতম অনুষঙ্গ এই খাবার।

স্থানীয় একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উৎপাদিত আলুর প্রায় ৯৩ শতাংশ কৃষকরা বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যবসায়ী বা বেপারিদের কাছে। তবে এখনো কিছুসংখ্যক কৃষকের আলু মজুদ রয়েছে হিমাগারে। বাকি সবটুকুই ব্যবসায়ীদের হাতে। ফলে বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায্যমূল্য থেকে। আর হিমাগারগুলোতে হাত বদলেই বাড়ছে আলুর দাম।

আজিজ মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, আমি বাপ দাদার আমল থেকে ২৫/৩০ বছর ধরে আলুর চাষাবাদ করছি। টানা বেশ কয়েক বছর ধরে লোকসান হলেও থেমে যাইনি। চলতি মৌসুমে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবু এবার সদর উপজেলার চরকেওয়ার এলাকায় প্রায় ১০৯ একর জমিতে আলুর চাষাবাদ করেছি। চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে জমি থেকে আলু উত্তোলন শেষে নয় থেকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি কেজি আলু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছি। মাত্র পাঁচ-ছয় মাসের ব্যবধানে এসব আলু এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে অন্তত তিন গুণ বেশি দামে। ১০ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে।

তবে সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে ভিন্ন অজুহাত রয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

রসরাজ বাবু নামের স্থানীয় এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী বলেন, এবার চলতি মৌসুমে পাঁচ হাজার বস্তার বেশি আলুর সংরক্ষণ করেছেন হিমাগারে, বিদ্যুৎতের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বেড়েছে সংরক্ষণ ব্যয়। এখনো তার প্রায় দুই হাজার বস্তার বেশি আলু মজুদ রয়েছে মুক্তারপুর এলাকার রিয়ারভিউ কোল্ড স্টোরেজে। মজুদকৃত এসব আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৭ টাকা কেজিতে।

৫০ কেজি ওজনের একেকটি আলুর বস্তা প্রায় ১৪০০ টাকা। তিনি বলেন, আমরা তো পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক দামেই খুচরা ব্যবসায়ী ও বাজারের আড়ৎদারদের কাছে আলু বিক্রি করছি তবে কেন তারা খুচরা বাজারে আলুর দাম বাড়াচ্ছে বিষয়টি প্রাসনের খতিয়ে দেখা উচিত। বাজারে আলুর মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে অস্থিরতার পেছনে কলকাঠি নারছেন ঢাকার বড় বড় কাঁচামালের আড়ৎদাররা।

অন্যদিকে স্বাভাবিকের চেয়েও দ্বিগুণ মূল্যে খুচরা পর্যায়ে আলু কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবু কয়েক দফা আলুর মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নানা অজুহাত দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

মুন্সীগঞ্জ কাঁচাবাজারের কাদির মৃধা নামের এক খুচরা আলু বিক্রেতা বলেন, আমি ২৫-৩০ বছর ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছি। কাঁচামালের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর আমাদের তো কোল্ড স্টোরেজ কিংবা হিমাগারের মজুদ রাখা পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি আলু কেনার সুযোগ নেই, তারা এসব বিক্রি করে ঢাকার বড় কাঁচামালের আড়ৎদারদের কাছে, এখান থেকে কিনে এনে আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি। সেখানে বেশি দামে কিনতে হয় বলেই এরসাথে বিভিন্ন খরচের কারণে আমাদের খুচরা আলু একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলেও ঢাকা থেকে আমাদের ৩৭ টাকা কেজি আলু কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে। বিভিন্ন খরচের কারণে এসব আলু আমরা ৪২/৪৪ টাকা বিক্রি করছি এখন। প্রশাসনের জোরালোভাবে রাজধানীতে বড় কাঁচামালের আড়ৎগুলোতে তদারকি করা উচিত।

তবে ভোক্তাদের অভিযোগ খুচরা বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মূল্যবৃদ্ধি করে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকভাবে জেলায় কমেছে আলুর উৎপাদন। দেশের অন্যান্য আলু উৎপাদনকারী জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ। ২০২৩ সালে ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে। এভাবে লক্ষ্যমাত্রা হারিয়ে বিগত বছরগুলোতে কমেছে উৎপাদন।

দিনমজুর এক রিকশা চালক দিপু কাজী বলেন, আমাদের তো আয় বাড়েনি। প্রায় প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের মতো গরিব মানুষেরা যে শুধু সবজি কিনে খেয়ে বেঁচে থাকবে সেই উপায়ও থাকছে না। এক মাস আগেও ৩০ টাকা কেজি আলু কিনেছি। এখন সেই আলুই চাচ্ছে ৪২ টাকা কেজি। আমরা কীভাবে বাঁচব? প্রতিদিন সাড়ে ৩০০ টাকা রোজে দিনমজুরের কাজ করি। এই টাকা দিয়ে কীভাবে সংসার চালাব আর কীভাবে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাব। প্রশাসনের উচিত অন্তত বাজারগুলোতে মনিটরিং করে আলুসহ অন্যান্য সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ ঢাকা মেইলকে বলেন, আলু রোপন মৌসুম থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত, কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। তবে কৃষকদের আলু বিক্রি করে দেওয়ার পর ফরিয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই কৃষি বিভাগের।

কিন্তু জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, ভোক্তা পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ পেলেই নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায়, কোনো লিখিত অভিযোগ পেলেই বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।

এই কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কোল্ড স্টোরে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত আলু মজুদ রাখা পাইকারি ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারেও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবু নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। শিগগির জোরালো পদক্ষেপে যেতে হবে আমাদের। বিশেষ করে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে। তবে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যে কারণটি খুঁজে পাওয়া গেছে তা হচ্ছে হিমাগারে থাকা আলু মজুদ থাকা অবস্থায়, কয়েক দফা হাত বদলে বাড়ছে দাম।

প্রতিনিধি/জেবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.