সিরাজদিখানে প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানি, থানায় অভিযোগ

পাওনা টাকা আদায়ের পরেও এক প্রবাসী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছে এক জনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- মো. সামসুল হক ও তার সহযোগীরা। আর ভুক্তভোগীরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মালোয়েশীয়া প্রবাসী মো. জুয়েল, মো. আলী ও তার পরিবার।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন প্রবাসীর রড় ভাই মোহাম্মদ আলী।

অভিযোগে বলা হয়, আমার আপন মামা ছোট মশিউর রহমান লিটন বর্তমানে জার্মানে থাকেন। সে আমার নিকট কিছু টাকা পাবে। সেই পাওনা টাকা আমার মামা যাকে যে ভাবে দিতে বলেছেন আমি সেভাবেই তাদের টাকা পরিশোধ করি। আমি বেশ কিছু টাকা চেকের মাধ্যমে এবং নগদ টাকা পরিশোধ করেছি যা আমার নিকট প্রমান হিসেবে রয়েছে কিছু চেকে আমরার ও আমার পরিবারের স্বাক্ষর করা সাদা চেকে তাদের কাছে থাকায় সেই চেক দিয়ে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের নিকট আরো টাকা দাবি করে আমার বড় মামা মো. সামসুল হক।

আমার বড় মামা মো. সামসুল হক এরপর ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার দিকে অভি ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা বন্ধুসহ আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং মোটা ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

প্রবাসী জুয়েল বলেন, আমার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী কোন টাকা না দিতে চাইলে, তারা বাসার মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে এভাবে আরো কয়েকবার তারা সংঘবদ্ধভাবে আমার ভাইয়ের বাড়ি আসে, কিন্তু ভাই না থাকায় তারা গালাগালি করে চলে যায়।

আরো অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্ত মো. সামসুল হক প্রবাসী জুয়েল রানাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় আমার ভাই ও আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছে।

এ বিষয়ে অভিযোক্ত মো. সামসুল হক বলেন, আমার ভাই মশিউর রহমান লিটন ৬৪ লাখ টাকা দিয়েছিল তাদের এখন ২৮ লাখ টাকা পেতাম গ্রাম্য শালিশে তা কমিয়ে ১০ লাখ করে দিয়েছে এখন সেই টাকাও পাই না। আমি কোন হুমকি দেই নাই। আপনি এলাকায় এসে দেখেন। ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.